বর্তমানে স্পেস রিসার্চ সেন্টার গুলির একটি লক্ষ্য হলো লাল গ্রহ অর্থাৎ মঙ্গল। ইতিমধ্যেই মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে নাসার সর্বাধুনিক মঙ্গলযান ‘মার্স ২০২০ রোভার’। পাশাপশি “ইনজেনুইটি ” নামক স্পেস হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে মঙ্গলের উদ্দেশ্য । বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম , পৃথিবীর বাইরে ভিনগ্রহে উড়বে হেলিকপ্টার। তবে অত্যাশ্চর্য ইনভেনশনটির পেছনে রয়েছে এক ভারতীয়র মাথা। মার্স ২০২০ রোভার’- এর পোশাকি নাম ‘পারসিভের্যােন্স’। গত কয়েক বছরে স্পেস রিসার্চ-এর ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখতে পাওয়া যাবে ,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মঙ্গলকেই টার্গেট করা হয়েছে । খতিয়ে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে মঙ্গলের আবহাওয়া, ওখানকার বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ ও জলের উপস্থিতি । মার্স হেলিকপ্টারটি আর ঠিক 19 দিন পরে উড়বে মার্সের আকাশে । এবং গর্বের বিষয় হল এই অত্যাধুনিক আবিষ্কারের পেছনে যে ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন তিনি একজন ভারতীয় ,তাঁর নাম জে বব বলরাম। এই হেলিকপ্টারটি যদি সফলভাবে মার্চের আকাশে উড়তে সক্ষম হয় তাহলে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হবে বলরামের নাম, শুধু তাই নয় পাশাপাশি আরও দুই বঙ্গসন্তানের নাম নথিভুক্ত হবে স্পেস রিসার্চের গোল্ডেন টেমপ্লেটে । যাদের নাম অনুভব দত্ত এবং সৌম্য দত্ত ।
লালগ্রহে কক্ষপথের মহাকাশযানটি পৌঁছনোর পর সেখান থেকে লালগ্রহের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সুবাদে প্রয়োজন পড়বে একটি প্যারাসুটের।মঙ্গলের মাটিতে অবতরণের জন্য যে দৈত্যাকার প্যারাস্যুটটি তৈরি করা হয়েছে, তার পিছনে রয়েছেন বর্ধমানের সৌম্য দত্ত, যিনি বর্তমানেভার্জিনিয়ায় নাসার ল্যাংলে রিসার্চ সেন্টারের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়র। ১৮ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহে পৌঁছে যাবে মার্স ২০২০ রোভার৷ আর আকাশে চক্কর কাটবে ইনজেনুইটি৷ এর ওজন ১.৮ কিলোগ্রাম৷ রয়েছে দুটি রোটর৷ এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উড়তে পারবে৷ প্রসঙ্গত, ৬ মাস আগে গত ৩০ জুলাই শুরু হয়েছিল তাঁদের যাত্রা।