আজ রাজভবনে শপথ নিলেন নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজ্যপাল হিসেবে নাম ঘোষণা করার পরই সি ভি আনন্দ জানান, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি রাজনৈতিক নয়, প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চলতে চান। আজ নয়া রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে নীল হাঁড়িতে প্রায় একশো রসোগোল্লা দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে রাজ্যপালকে মিষ্টি খাওয়ানোর প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসেবে পেয়েছি। আমরা চাইবো , তাঁর যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাকে যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায়। পশ্চিমবঙ্গে যে অধগতি শুরু হয়েছিল তা যেন পরিবর্তন হয়। মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই। সরকার যেন নিয়ম-নীতির মধ্যে চলে। আজ শপথ গ্রহণ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানের দায়িত্বে রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ যার নেতৃত্ব মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আর ২৯৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন মন্ত্রী এবং স্পিকার এ’দিনে নিমন্ত্রিত।‘ সভাবতই বিজেপির তরফ থেকে আজ সেরকম কাউকে দেখা গেলনা অনুষ্ঠানে।
এদিন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হতে চলেছেন এমন দু’জন নেতার পাশে তাঁর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে নিজের আসন নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে অসৌজন্যমূলক এবং লজ্জার রাজনীতি বলে তিনি দাবী করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এর তীব্র নিন্দা করে শুভেন্দুকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত, চোর চিটিংবাজ প্রভৃতি বলে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন শুভেন্দু বিজেপিতে গেছে সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য। তাঁর আবার কি পদমর্যাদা। এদিকে আজ শপথের দিনই অধির চৌধুরী রাজ্যপালকে ঝালদা প্রসঙ্গে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। কংগ্রেসের জয় সত্ত্বেও ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর অভিয়োগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন