নির্বাচনের পরে পঞ্চায়েতের লুঠের টাকার হিসেব হবে। একশো দিনের কাজের লুঠের টাকাও হিসেব হবে। যারা লুঠ করেছে তাদের বাঁকুড়া জেলে জায়গা হবে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার তালডাংরার বিবড়দা হাট তলা ময়দানে এক জনসভায় তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে এভাষাতেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস পালের জেল হেফাজতের ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতারা যাবেন সেন্ট্রাল জেলে ও বিধায়ক সাংসদদের জায়গা হবে ভুবনেশ্বরের জেলে।
শুধু তাই নয়, সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, যারা সিবি, ইডির ভয় পাচ্ছেন, তারাই জেলে যাওয়ার কথা বলছেন। উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুরে এদিন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তোলাবাজ ভাইপো না বলে বুকের পাটা থাকলে জেলে পুরে দেখাক। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির প্রমাণ চান অভিষেক।
এদিন দিলীপ তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে গেলে দম লাগে, তার আগে ওই দলটাই না উঠে যায়। গঙ্গারামপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে তোপ দাগতে গিয়ে চোর গুন্ডারা বিজেপিতে যাচ্ছে এমনকি নাম করে দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা বলেও মন্তব্য করেন। এদিন সে প্রসঙ্গে নাম না করে দিলীপবাবু বলেন, আমি তো গুন্ডা আছি, গুন্ডামি করলে আমিও সাধারণ মানুষকে নিয়ে গুন্ডামি করব। একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অত্যাচারিত মানুষের হয়ে কথা বলি। এদিন আগাগোড়া তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি মেদিনীপুরের এই ভূমিপুত্র।