কাজের জন্য বাইরে থাকেন স্বামী। বাড়ি ফিরতে পারেননি বহুদিন। স্বামীকে কাছে না পেয়ে সেই অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বধূ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলতলিতে। যদিও ওই বধূর মামার অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছে ভাগ্নী। মৃতা ওই বধূর নাম সুষমা পাইক। কুলতলির বাসিন্দা সুষমা ভালোবেসেই বছর দুয়েক আগে বিয়ে করেছিলেন পাশের গ্রাম চুপড়িঝাড়ার এক যুবককে। সব চলছিল ঠিকই। কিন্তু বিয়ের একবছর পর, গতবছর কর্মসূত্রে তামিলনাড়ুতে যান ওই বধূর স্বামী। তারপরই আটকে পড়েন লকডাউনের কারণে। দুজনের কথাবার্তা চলত ফোনেই। কিন্তু স্বামীকে দীর্ঘদিন কাছে না পেয়ে অবসাদে ভুগতে থাকেন সুষমা। এরই মধ্যে বুধবার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুষমার ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন৷ সুষমা, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ। যদিও মৃতার মামার দাবী আত্মহত্যা নয়, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর ভাগ্নীকে।
ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তরুণী বধুর এহেন মৃত্যুতে কার্যতই শোকের ছায়া এলাকায়।
কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন বাইরে স্বামী, অবসাদে আত্মঘাতী বধূ । এম ভারত নিউজ
Read Time:1 Minute, 44 Second