আজ নন্দীগ্রামের তেখালিতে জনসভা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মমতার সভায় ডাক পাননি অধিকারী পরিবারের দুই তৃণমূল সদস্য। অথচ এদিনের সভায় উপস্থিত থাকবেন জেলার একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব সহ কর্মীরা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জেলা সভাপতি ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অধিকারী গড়ের চাণক্য শিশির অধিকারীকে। তবে অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে এখনও কোন পদ থেকে সরানো না হলেও এদিনের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইতিমধ্যে চলছে সভার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।
এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে সভা করার কথা থাকলেও তা স্থগিত হয়ে যায়। যা নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন সভা থেকে মমতার সভা না করা প্রসঙ্গে শুভেন্দুর মত, সভা না করে পগারপার হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এদিনের হাইভোল্টেজ সভা থেকে কী বার্তা দেন নেত্রী। সেদিকেই তাকিয়ে সবমহল।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব ও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ যেসব নেতৃত্বরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিনের মঞ্চে থাকবেন তাদের কোভিড রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সেই মত সোমবার সকালে নন্দীগ্রামের তেখালিতে সভার উদ্দেশে যাওয়ার সময় পাঁশকুড়া পৌরসভার পুর প্রপ্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান কোভিড টেস্ট করানোর জন্য। পরে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তা নিয়েতেখালির উদ্দেশে রওনা দেন।