এবার শুধু শহর নয় বাংলার বিজেপি নেতাদের গ্রামে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে মানুষের কাছে প্রচার করার নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা সহ কেন্দ্রীয় শীর্ষ বিজেপি নেতারা।
এখন সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলছে। অধিবেশন শেষে হলেই গ্রামের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহরে যেভাবে নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করছে বিজেপি গ্রামাঞ্চলে সেভাবে কিছুই হচ্ছে না। গেরুয়া সংগঠন সেখানে একেবারেই তলানিতে। এর আগে সুনীল বনশল ও অমিত মালব্যরা বঙ্গ শীর্ষ বিজেপি নেতাদেরকে এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট দিয়েছিলেন। রাজ্যজুড়ে গ্রামীন এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভকে আরও উস্কে দিয়ে অস্তিরতা তৈরি করতে পারলে পঞ্চায়েত ভোটে সুফল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় বিজেপি মহল। তবে তার সাথে রাজ্যে গ্রামীন বিজেপি সংগঠনের ওপরও জোর দিতে হবে।
মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্প হলেও সেটা নিয়ে কোনো সমস্যা হলে রাজ্য প্রশাসনের ওপর তার দায় এসে পড়ে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের অর্থ না পাওয়া নিয়ে গ্রামের গরিব মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নানা স্থানে এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন গ্রামের মানুষজন। রোষের মুখে পরতে হচ্ছে প্রশাসনের নিচুতলার কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের। অথচ টাকা আদায় করতে দিল্লি এসেছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখামন্ত্রী থেকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রর অর্থ যাতে শাসক দল লুঠ করতে না পারে তাঁর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর দুয়ারে ছুটে বেরিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদাররা। এমনকি রাজ্যের বকেয়া আদায়ের জন্য তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে একসঙ্গে দিল্লি বা অন্য কোথাও যাবেন না বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন