সুপ্রিম কোর্টের ধমকে নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য তুলে দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। নির্বাচন কমিশন তথ্য প্রকাশ করার পর দেখা গেল, নির্বাচনী বন্ড লেনদেনে এমন কিছু কাণ্ড সত্যিই ঘটেছে, যা কেন্দ্রের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে নির্বাচন সদন। সেই বন্ডের ক্রেতা এবং প্রাপক দলের লম্বা তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশও করে দেওয়া হয়েছে। তালিকা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, বন্ড কেনায় শীর্ষে রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তের মুখে পড়া ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড’।
২০২০-২০২৩ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে তারা। ২০২২ সালের ২ এপ্রিল ইডি ‘ফিউচার গেমিংয়ের অফিসে অভিযান চালায়। তার ঠিক ৫ দিন পরে অর্থাৎ ৭ এপ্রিল ইলেক্টোরাল বণ্ডের মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা দান করে তারা। এটি লটারি ব্যবসায়ী মার্টিন সান্তিয়াগোর সংস্থা বলে জানা গেছে। মূলত দক্ষিণ ভারতে লটারি ব্যবসা শুরু করলেও এই মুহূর্তে উত্তর-পুর্ব ভারত এমনকি নেপাল ও ভুটানেও তাঁর লটারি ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে।
৯৬৬ কোটি টাকার বণ্ড কিনে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তেলুগু ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রেড্ডির সংস্থা ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। ২০১৯ সালে আর্থিক তছরুপের মামলায় আয়কর দফতরের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাদের। তবে গত বছরই পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ১৪ হাজার কোটি টাকার বরাত পেয়েছে কেন্দ্রের থেকে। ৪১০ কোটি টাকার বন্ড কিনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের ‘কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড’। এই সংস্থার সঙ্গে আম্বানিদের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে বলেও খবর।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক শীর্ষ ১০ নির্বাচনী বন্ড ক্রেতার তালিকা –
১) ফিউচার গেমিং এবং হোটেল সার্ভিসেস – ১,৩৬৮ কোটি টাকা
২) মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড – ৯৬৬ কোটি টাকা
৩) কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড – ৪১০ কোটি টাকা
৪) বেদান্ত লিমিটেড – ৪০০ কোটি টাকা
৫) হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড – ৩৭৭ কোটি টাকা
৬) ভারতী গ্রুপ – ২৪৭ কোটি টাকা
৭) এসেল মাইনিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড – ২২৪ কোটি টাকা
৮) ওয়েস্টার্ন ইউপি পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড – ২২০ কোটি টাকা
৯) কেভেন্টার ফুডপার্ক ইনফ্রা লিমিটেড – ১৯৫ কোটি টাকা
১০) মদনলাল লিমিটেড – 185 কোটি টাকা