খাস কলকাতায় এসে মমতার সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্ প্রকাশ নাড্ডা। বুধবার দু’দিনের সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। বিমানবন্দরে নেমেই সোজা তাঁর কনভয় আসে হেস্টিংসে নয়া কার্যালয়ে। সেখানেই মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, মমতার আরেক নাম অসহিষ্ণুতা। বাংলায় তাদের 130 জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিচ্ছে বাংলা। এরপরই তাঁর প্রশ্ন এ কেমন বাংলা?

এদিন তিনি যখন হেস্টিংসের কার্যালয়ে ঢোকেন তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় একদল বিক্ষোভকারীরা। কোনমতে তাদের কাটিয়ে কার্যালয়ে ঢোকেন নাড্ডা। তৃণমূলকে এদিন কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের কাছে দলটাই পরিবার আর বিজেপির কাছে পরিবারটাই দল। তাই নেতারা কার্যালয় থেকে দল চালায়। তাঁর মতে, বিজেপি কার্যালয়ে বিশ্বাস করে, কার্যালয়ই সংস্কারের কেন্দ্র। এদিন তিনিও অমিত শাহের টার্গেট মত কর্মীদের টার্গেট নিশ্চিত করে দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, বাংলায় 200-র বেশি আসন পাবে বিজেপি। সেইসঙ্গে তিনি বলেন একটু ধৈর্য ধরুন বিজেপিই বাংলায় সরকার গড়বে।

এদিন কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার 9টি জায়গায় নির্বাচনী কার্যালয় ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন নাড্ডা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা সহ একাধিক নেতারা। প্রসঙ্গত একুশের নির্বাচনে ঝাঁপাতে উঠে পড়ে লেগেছে বিজেপি। তাই এবার দফতরের বদলে কার্যালয়ের মাধ্যমে কাজ করবে বিজেপি। তার জন্যই হেস্টিংসে ঝাঁ চকচকে বিশাল ওয়াররুমের উদ্বোধন করা হল। এই কার্যালয়ে থাকছে আইটি সেল, কল সেন্টার, নেতাদের বিশ্রামঘর, হেলিকপ্টার ও গাড়ি মনিটরিং সহ কনফারেন্স রুমও।

এদিন উদ্বোধন শেষে খাস মমতার বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে যান নাড্ডা। সেখানে আর নয় অন্যায় কর্মসূচির অন্তর্গত গহ সম্পর্ক অভিযান প্রকল্পে লিফলেট বিলি করেন। পরে সেখান থেকে সোজা কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন কেন্দ্রীয় সর্বভারতীয় সভাপতি।