ওড়িশার একাধিক হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা চলছে বাংলার মানুষজনের। সেই আহত বাংলার যাত্রীদের দেখতে আবার ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ৫৩ জনের চিকিৎসা চলছে কটকেও। তাঁদের দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই ৫৩ জনের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা গুরুতর।’ আজ হাওড়ার টোল প্লাজায় মৃত চারজন যাত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও বহু যাত্রী ভর্তি আছেন ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে। তাঁদের দেখতে মঙ্গলবারই ওড়িশা যাচ্ছি।’
এছাড়া আজ মরদেহগুলিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে অন্তিম শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনার জেরেই দার্জিলিং সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই বালেশ্বর থেকে রাজ্যে আসা নিহত চার জনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। টোল প্লাজা চত্বরে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে তিনি শেষ শ্রদ্ধা জানান। ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার সঙ্গে আহতদের ৫০ হাজার টাকা এবং ট্রমায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আরও ২ লাখ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, আগামী ৮ জুন অভিষেকপত্নী রুজিরাকে আবার কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। রুজিরাকে বিমানবন্দরে আটকানো নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আর এরই মধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘ওর মা খুব অসুস্থ। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি দেওয়া ছিল। বলা হয়েছিল, যদি ও কখনও বাইরে যায়, শুধু ইডিকে একবার জানাতে হবে। অমানবিক জিনিস চলছে।
এখন মানুষকে সাহায্য করার পরিবর্তে কীভাবে দানব-দৈত্যগিরি করা যায়, সেদিকে এদের চোখ।’ এরপরই বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মমতা বললেন, ‘একদিকে মৃত্যু মিছিল চলছে, কোনও লজ্জা নেই, কোনও সমবেদনা নেই। মৃত্যুর মিছিলের মধ্যে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে, কীভাবে এটিকে ধামাচাপা দেওয়া যায়, সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছে।’ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর তোপ, ‘এতবার ওদের কেন বিদেশে যেতে হয়? ২০১৪-র আগে কতবার বিদেশে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার? বিদেশ যাত্রার জন্য এত টাকার উৎস কী? বছরে ৩-৪বার বিদেশ যাত্রার টাকার উৎস কী? কী ব্যবসা আছে?’