আজ গঙ্গাসাগর সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্র সরকারের ওপর তোপ দাগলেন। তৈরি হল আরেকটি নয়া ইস্যু। তিনি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করার দাবী জানান। কেন্দ্র সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় মেলা হিসেবে কুম্ভ মেলার সব খরচ কেন্দ্র সরকার দেয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার সেই টাকা পায়। আমাদের ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও কেউ সাহায্য করেনি। আমাদের রাজ্য বঞ্চিত হচ্ছে। গঙ্গাসাগরে সমস্ত উন্নয়নের টাকা রাজ্য সরকার দেয়। এত মানুষের সমাগম এখানে। কেন্দ্র চাইলেই একে জাতীয় মেলা ঘোষণা করতে পারে। এখানকার উন্নয়নের জন্য বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি। তবে আমরা আবারও অনুরোধ করব। গঙ্গাসাগরে পৌঁছনোর প্রতিকূলতা একটু দূর করে সেখানে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে মানুষের যাতে সুবিধা হয় সেই ব্যবস্থা রাজ্য সরকারই করে চলেছে।‘
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্য সরকারের নিজস্ব খরচে তৈরি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেখানে হেলিপ্যাড ময়দান থেকে তিনটি হেলিপ্যাড উদ্বোধন করেন তিনি। তারপর ভার্চুয়ালই উদ্বোধন করেন কামারহাটি সেতু। পাশাপাশি রাজ্যের পাঁচটি তীর্থক্ষেত্রকে একত্রিত করে তৈরি ‘বাংলার মন্দিরে’র সূচনা করেন এ’দিন। এবার দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ি, তারাপীঠ কালীমন্দির, জহুরা কালীবাড়ি ও তারকেশ্বর দর্শন করানো হবে একইসঙ্গে। ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে সেখানে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গনকে আলোকোজ্জ্বল করতে বিশেষ আলোর ব্যবস্থাও চালু করেছেন তিনি। ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বঙ্কিম হাজরার মতো রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীদের গঙ্গসাগর মেলার দেখভালের বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৭ থেকে ১৭ ই জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
আরও পড়ুন