পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিনেও বঙ্গে আসছেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় সীমার মধ্যেই রাজ্যে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনী প্রচারের ঝড় তুলতে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন তিনি। চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন বাংলায় এসেছিলেন তিনি। পাশাপাশি সেই একই দিনে শীতলকুচিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি মহল ,তাই দ্বিতীয়বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেই দিকে নজর দিয়ে, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টার মধ্যে, সমস্ত দলের নির্বাচনী প্রচার সম্পন্ন করতে হবে। শুধু পঞ্চম দফা নয়, সবকটি দফার ৭২ ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে নির্বাচনী প্রচার। এই বিধি মেনেই প্রচার করতে হবে সবকটি রাজনৈতিক দলকে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারের অশান্তির পাশাপাশি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী। তাই রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যার ফলে তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ,আগামীদিনে করোনা বিধি মাথায় রেখেই করতে হবে সমস্ত দলীয় নির্বাচনী প্রচার। ওদিকে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য জামায়াতের কারণে দৈনিক করোনা সংক্রমণ সাত হাজারের গণ্ডি পার করতে চলেছে। আজ পঞ্চম দফার ভোটের দিন রাজ্যে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সভা। এদিন আসানসোল ও গঙ্গারামপুরে পর পর জনসভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন বঙ্গের প্রধান মন্ত্রীর আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনী প্রচারে দিন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে আগমন এবং তাঁদের জন্য নির্বাচনী প্রচারের প্যান্ডেল তৈরিতে নিযুক্ত বাইরের রাজ্যের কর্মচারীদের নিয়ে আসার কারণেই রাজ্যে করোনা সংক্রমনের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তাই নয় পাশাপাশি যেই স্থানগুলিতে ভোটগ্রহণ চলছে সেই স্থানের ভোটাররা প্রভাবিত হন তাঁর এই জনসভায় কারণেই। তাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের তাগিদেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল সরকার তবে সমস্ত অভিযোগের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়ে আজ নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।