বিবাহিত, দুই সন্তানের মা। কিন্তু প্রেম কি কোনও বাধা মানে? তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপের পরেই যুবককে প্রেম নিবেদন করে বসেছিলেন বছর ৩৫-এর শিবা। আর সেই প্রেম প্রস্তাবে গররাজি হওয়ায় এবার সোজা ‘প্রেমিক’ যুবকের মুখে অ্যাসিড মারলেন ওই বধূ। মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সেই যুবক। তত্ত্বাবধানকারী চিকিৎসকদের আশঙ্কা, দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন ওই যুবক। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের তিরুবন্তপুরমে। মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তারও করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এক সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, তিরুবন্তপুরমের বাসিন্দা বছর আঠাশের ওই তরুণের নাম অরুণ কুমার। তাঁর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় শিবা নামে ওই বছর পঁয়ত্রিশের মহিলার। বেশকিছু দিন কথাবার্তাও হয় দুজনের মধ্যে। এরপরেই একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠও হয়ে পড়েন তাঁরা। এরপরই অরুণকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় শিবা। সেই সময়ই প্রকাশ্যে আসে অরুণ জানতে পারেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শিবা বিবাহিতা এবং তাঁর দুই সন্তান আছে, একথা জানার পরই সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অরুণ। কিন্তু সে কথা জানতেই শিবা আপত্তি জানান।
অরুণের পরিবারের অভিযোগ, সম্পর্ক শেষের কথা বলতেই অরুণকে চাপ দিতে থাকেন শিবা। এই ঘটনাকে শুরু হয় অশান্তি। এমনকী, অরুণকে ব্ল্যাকমেল করে টাকাও চাইতে থাকেন শিবা। গত ১৬ নভেম্বর জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে নিকটবর্তী একটি চার্চে শিবার সাথে দেখা করতে আসেন অরুণ। কথা ছিল, চাহিদামতো টাকা দিয়ে এই সম্পর্কে ইতি টানবেন অরুণ। কিন্তু দেখা হওয়ার পরেই আচমকাই অরুণের মুখে অ্যাসিড ছোড়ে শিবা। অ্যাসিডে জখম হয় শিবা নিজেও। কিন্তু গুরুতর জখম হয়েছেন অরুণ। প্রথমেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু পরে সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, অরুণের গোটা মুখ অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছে। ক্ষতি হয়েছে চোখেরও। চিরকালের মতো দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন তিনি।