খতরা হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘খতরো কে খিলাড়ি’ । জনপ্রিয় এই টিভি শো-টির অনুকরণ করতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন এক যুবক । গত রবিবার এমনই এক ঘটনা ঘটে কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে । ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও থেকে এই খবর প্রকাশ্যে আসে । যেখানে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং-এর গায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রায় ৭-৮ জন যুবক । তাঁদের মধ্যে তিন জন সেতুর রেলিং-এর ওপারে চলে গেছেন । আর পেছনে থাকা বাকিরা হাতে মোবাইল নিয়ে ভিডিও করতে করতে তাঁদের উৎসাহ জোগাচ্ছেন জলে ঝাঁপ দেওয়ার জন্যে আর মুখে বলছেন ‘খতরো কে খিলাড়ি’ । এমনকি তাঁদের কথায় ম্নে করা হচ্ছে পুলিশ আসার আগেই তাঁরা যেন এই কাজটি করতে পারেন তার জন্য বন্ধুদের তাড়াতাড়ি ঝাঁপ দেওয়ার জন্য জোরও করছিলেন তাঁরা । তারপর আচমকাই ওপারে থাকা তিনজনের মধ্যে দু’জন একে একে জল ঝাপ দেন । এক জন ভেসে উঠলেও দেখতে পাওয়া যায়নি আরেক যুবককে । ওই দুই যবকই তিলজলার বাসিন্দা ।
রোমাঞ্চ না খেলা বোঝা দায় । সামান্য ক্ষণিকের আনন্দের জন্যে ঘটে গেল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা । রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চলছে উদ্ধার কাজও । তবে, প্রশ্ন উঠেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নিরাপত্তা নিয়ে । কেন এরকম একটি বিপদজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশি টহল বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়নি, এর আগেও হাওড়া ব্রিজে এরম ঘটনা ঘটার জন্যে পুলিশ যথযথ ব্যবস্থা নেয় তবে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটার আগেই কেন কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, পুরো ঘটনার সময়ই ডিউটেতে থাকা পুলিশরাই বা কোথায় ছিলেন, এতক্ষণ ধরে চলা এই ঘটনায় কেউ একজনও কেন এগিয়ে এলেননা, বা যারা দেখলেন তাঁরাই বা কেন বাঁধা দিলেননা, কাউকে ডাকলেননা ? শুধুমাত্র ছেলেমানুষির জন্য নাকি শিক্ষার অভাব নাকি ‘খতরো কে খিলাড়ি’র মত উস্কানিমূলক টিভি শো আর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এর জন্য দায়ী ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।