কাঁথির অন্যতম বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছেন তিনি। সেই দীর্ঘদিনের সমর্থক শিশির অধিকারীকে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সেই কার্যভার দেওয়া হলো অখিল গিরিকে। আজ তিনি সেই খবর শুনলেন কলকাতার একটি হাসপাতালে চোখের অপারেশন করাতে গিয়ে হাসপাতালের বেড এ শুয়ে। খবর পেয়ে শিশির অধিকারী প্রতিক্রিয়ায় তাচ্ছিল্যের মুচকি হাসি হেসে বললেন , “নো অ্যাকশন- নো রিঅ্যাকশন!” তাছাড়া বলেন যে, এই বয়সে এসে কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবেনা।
অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অধিকারী পরিবারের ছেলে শুভেন্দু। ডিসেম্বরের শেষের দিকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে তাঁর ঘরেতেও পদ্ম ফুটবে। তারপর বিজেপিতে যোগ দেয় আরও এক ছেলে সৌমেন্দু। যদিও তৃণমূলেই থেকে গিয়েছেন শিশির এবং ছোট ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী। তাই এর প্রকোপ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর ওপর দিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রত্যাশা ছিল। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে এখন নেতাদের দলবদলের বিষয় মাথায় রেখে নতুনদের ওপর ভরসা রেখে চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, “দু’বছর ধরে কোনো কাজ না করার কারণে তাকে সরানো হয়েছে” মন্তব্য করেন অখিল গিরি। “বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী বয়সের কারণে বিশেষ কাজ করতে পারতেন না,তবে দুই ছেলের দলবদলের বিষয়ে কোন মন্তব্য না করায় তৃণমূল দলের আনুগত্যে আঘাত হয়েছে”, জানালেন কুণাল ঘোষ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু দিন আগে অধিকারী পরিবারের এই দুই সদস্যকে “উপসর্গহীন, বেইমান” বলে কটাক্ষ করেছিলেন৷ তাছাড়া, বিজেপির শীর্ষ নেতা মুকুল রায় জানান, “এবার শিশির অধিকারীর বিজেপিতে আসার অপেক্ষা”।