রবিবার বোলপুরে রোড শো শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে অনুব্রতর গড়ে বসেই শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাথাপিছু আয়— সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে এরাজ্য। পাশাপাশি সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবারে জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার তীব্র নিন্দা করে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেন তিনি। অমিত বলেন, ক্ষমতার দম্ভেই এমন আক্রমণ। তৃণমূলকে তোলাবাজ, পরিবারবাদী, দুর্নীতির সরকার আখ্যা দিয়ে তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষই তৃণমূল সরকারকে সরিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় বসাবে।

এদিন এরাজ্যকে পিছিয়ে পড়ার আখ্যা দিয়ে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অমিত। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অমিতের তোপ, ‘‘এ রাজ্যে প্রথম শুধু তোলাবাজিতে, পরিবারতন্ত্রে, দুর্নীতিতে।’’ এরপরই এদিন ফের আমফানের ইস্যুতে তৃণমূলকে বেঁধেন তিনি। এদিন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে বলেও মমতাকে কটাক্ষ করেন অমিত। পাল্টা তাঁর প্রশ্ন
‘‘মমতা দিদি যখন কংগ্রেসে ছিলেন, তখন ইন্দিরা গান্ধি বা নরসিংহ রাও এ রাজ্যে আসতেন। তখন কী বলতেন? এরপরই তিনি বলেন, বাংলার মানুষ উদার, খোলা মনের, এই সব প্রচারে তাঁরা কান দেবেন না।

মমতাকে নিশানা করে অমিতের কটাক্ষ, ‘‘দিদি, আপনি চিন্তা করবেন না। এ রাজ্যের মানুষই আপনার সরকারকে ত্যাগ করবে। আরও স্পষ্ট করে অমিত বলেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলার ভূমিপুত্রই।’’ সাংবাদিক বৈঠকে ওঠে নয়া নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গও। জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনার জন্য পুরো প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। করোনার টিকা শুরু হলে তার পর সেই সব প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে।’’ সবমিলিয়ে বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে গোটা দুদিন যেভাবে দাপিয়ে বেড়াল গেরুয়া ব্রিগেড তাতে করে একুশের নির্বাচনে তৃণমূলকে টক্কর দিতে যথেষ্ট বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।