রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা দেশ। সেই সময় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিধায়ক পদ খারিজের হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তাপস রায়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শুভেন্দুর বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনলে শুভেন্দুর বিধায়ক পদ খারিজ হত, রাহুল গান্ধীর মত অবস্থা হতো।” আর তাপসের সেই হুঁশিয়ারির পর পাল্টা আক্রমণাত্মক মেজাজে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”ক্ষমতা থাকলে করে দেখাক। ওদের উপরেও অনেক লোক আছে। ভারতের বিচার ব্যবস্থা এখনও মরে যায়নি। আমাকে সাসপেন্ড করছিল, প্রত্যাহার করতে হল কেন? ভারতের বিচার ব্যবস্থা এখনও জিন্দা আছে।”
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/03/IMG-20230326-WA0020.jpg)
এদিন নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গোপালপুর পশ্চিম পল্লী ১০৮ নম্বর বুথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তাপসের মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এছাড়া তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সুর চরান। বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করেন। এই স্কিমের সত্যতা মানুষের কাছে তুলে ধরেছি। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে দুয়ারে সরকার করে পঞ্চায়েতে টিকতে চাইছে। এই রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় বসে চুরি ডাকাতি ছাড়া আর কিছু করেনি।”
অন্যদিকে, শুধু বিরোধী দলনেতা নয়, নিজের দলের একাংশেরও সমালোচনা করেছেন তাপস রায়। অন্য দল থেকে তৃণমূলে আসা নিয়েও নিজের আপত্তির কথা ঢেকে রাখেননি তিনি। বলেন, “অন্যদল থেকে বদমাইশগুলো আমাদের দলে ঢুকেছে। তাঁরা সবসময় সরকারি দলের সঙ্গে থাকতে চায়। এই দলে এসে নিজেদের কাজ করছে তারা। আমাদের কাজ করছে কি? করছে না।” দলের প্রবীণ নেতার আক্ষেপ, “আমরা বেনোজল ঢোকা আটকাতে পারিনি। আটকাতে পারলে আজকের অবস্থা হত না।” প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার দলের একাংশের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাপস রায়কে।