বিজেপির যারা পুরানো নেতা-কর্মী তাদের ওপর অনেকবার আক্রমণ হয়েছে। এতে আমাদের অসুবিধা হয় না। আসলে ওরা দেখল এসব করে লাভ নেই। এবার তাই যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসছেন তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। বুধবার কেষ্টপুরে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে কালো পতাকা দিয়ে মারা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
দিলীপের মতে, তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয় পেয়েছে তাই মানুষকে চমকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। সাপ যেমন ভয় পেয়ে গেল ছোবল মারে তৃণমূলেরও সেই অবস্থা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে কোমর ভেঙে গিয়েছে তাই শুধু ফোঁস ফোঁস করছে।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি বলেন, আসল খেলাটা এবার হবে। এমন খেলব আমরা ওরা স্টেডিয়ামে বসে বসে দেখবে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বিজেপিকে নিশানা করতে গিয়ে বলেন, ঠেঙিয়ে পগারপাড় করে দেব।
নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই রক্তক্ষরণ চলছে তৃণমূলে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, বছর খানেক আগেই বলেছিলাম এ দলে কোনো ভদ্রলোক থাকতে পারেন না। আর দলটাই থাকবে না। পরিস্থিতি সেদিকে যাচ্ছে। এখন চলছে। অনেকেই নড়াচড়া করছেন। অনেকেই সাহস করে আসছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর দল ছাড়ার স্রোত লেগে যাবে।
বুধবার কসবায় মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির সামনে বোমা পড়েছে। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, কাপুরুষরা একাজ করেছে। এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপবাবু বলেন, এতদিন তৈরি করেছেন। এতদিন টেস্ট করে রেখেছেন। সেগুলো কোথাও না কোথাও লাগাতে হবে। এবার দেখুন বোমের আওয়াজ কেমন হয়। আমাদের বাড়িতে তো প্রায় পড়ত এবার ওঁনারা সুযোগটা পাচ্ছেন।