রাজ্য সভা থেকে সরাসরি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিক্ষোভ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন মোদি । তিনি বলেন, কৃষিতে যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করাই আমাদের কাজ, করোনাকালে দেশের কৃষক যথেষ্ট উৎপাদন করে গেছেন ফলে কোন সমস্যা হয়নি সেভাবে দেশের সাধারণ মানুষের, স্মৃতিরোমন্থন করে তিনি বলেছেন ৮৪ দাঙ্গার সময় পাঞ্জাবে যা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের গোলাগুলির সময় যা হয়েছিল সেগুলো ভুলে গেলে চলবে না, দেশের মাটির যা ক্ষতি এখনো পর্যন্ত হয়ে গেছে সেই সমস্ত সমস্যার সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে । পাশাপাশি শিখ ভাইদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তাঁদের অবদান ভোলার নয়, তাঁদের তিনি সম্মান করেন । এই আন্দোলনের কথার রেষ টেনেই তিনি বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাঁদের ‘আন্দোলনজীবী’ বলে আর তাঁদেরকেই প্রধানমন্ত্রী ‘পরজীবী’ বলেও সম্বোধন করেছেন এবং তাঁর কথায়, এই পরজীবীরাই সমস্ত আন্দোলনে গিয়ে যোগ দেয় । আর কিছু মানুষ তাঁদের উস্কানি দেয়। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে । কেন্দ্র তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন কৃষকেরা। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী স্থানে যেই থাকুন না কেন তার উচিত ভালো কাজ করা এবং সকলকে সঙ্গে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করা। পাশাপাশি এও বলেন, এই মুহূর্তে অনেক পরিবর্তনের দরকার আছে। তার বক্তব্যের মধ্যে তিনি যোগ করেছিলেন “এমএসপি থা এমএসপি হ্যাঁয় এমএসপি রাহেগা” রাজনৈতিক চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে উন্নতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গে বলেন, যুব শক্তিকে সাহস জোগাতে হবে, সুযোগ দিতে হবে যাতে তারা ভবিষ্যতের প্রদীপ হয়ে দাঁড়াতে পারে । করোনা কালে মায়েরা যে ভূমিকা পালন করেছেন তা অনস্বীকার্য । প্রতিটা মা-বোনকে স্বনির্ভর বানাতে হবে । নতুন শিক্ষা নীতি নতুন দিশা নিয়ে এসেছে । প্রত্যেক সরকার নিজের সিংহাসন বাঁচাতে ব্যাস্ত । কিন্তু নিজের কাজ, দেশকে ভালোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে যেতে হবে । খারাপটা না হয় তাঁর নামেই রাখা হোক কিন্তু দেশের যেন ভালো হয় এমনটাই বক্তব্য মোদীর । অবশেষে নিজের বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন – ‘আমি একা নই, আমার সঙ্গে ১৩০ কোটি ভারতবাসী আছে, তাঁদের স্বপ্ন দেশের স্বপ্ন, তাঁদের আকাঙ্ক্ষা দেশের আকাঙ্ক্ষা, আমি একা নই আমরা একসঙ্গে উন্নতির পথে এগিয়ে চলব, ২০৪৭-এ স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তিতে ভারতবর্ষ যে উন্নতির উৎসব পালন করবে আমি সেই দিকে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, আমি একা নই, চলুন সবাই একসঙ্গে এই কাজে হাত লাগাই ‘।