গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের পর মুকেশ ঠাকুর। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের এনকাউন্টারে ফের খতম এক দুষ্কৃতী। সোমবার ভোরে আগ্রার কাছে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় মুকেশের এমনটাই পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। এই এনকাউন্টারে প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি (আগরা) নবীন অরোরা জানিয়েছেন, আগরা সদর থানা লাগোয়া এসএনএল গ্রাউন্ডের কাছে মুকেশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছে, ধৃত মুকেশকে নিয়ে একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ সে স্পেশাল অপারেশনাল গ্রুপ (এসএজি)-র এক কনস্টেবলের পিস্তল ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এরপরই গ্যাংস্টার মুকেশ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে পাল্টা গুলি চালান পুলিশকর্মীরাও। এরফলে গুরুতর জখম হয় মুকেশ এবং পরবর্তীকালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/08/WhatsApp-Image-2021-08-30-at-16.51.00-1024x571.jpeg)
চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে আগরার ইরাদত নগরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা লুঠ করে মুকেশ এবং তার সঙ্গীরা। তারপরই তার মাথার দাম ৫০,০০০ টাকা ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এছাড়াও অন্যান্য অপরাধমূলক কাজেও জড়িত থাকার অভিযোগে রয়েছে মুকেশের বিরুদ্ধে। সেই ব্যাঙ্ক লুটের অস্ত্রই উদ্ধারে গিয়েছিল পুলিশ। তবে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের এনকাউন্টারে গ্যাংস্টারের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে।
এর আগে জুলাইয়ে কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশও মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর কাছে গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কানপুরে এনকাউন্টারে মেরে ফেলে যোগীর পুলিশ বাহিনী। এর আগেও বিকাশ গ্যাং-এর বাকি সদস্য প্রেমপ্রকাশ পাণ্ডে, অতুল দুবে, অমর দুবে, প্রভাত মিশ্র, প্রবীণ ওরফে বৌবা দুবেকেও সাজানো এনকাউন্টারে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই ‘ঠোক দুঙ্গা’ নীতি অনুসরণ করার কথা জানিয়েছিল আদিত্যনাথ সরকার। এরপর বারবারই এরকম ভুয়ো এনকাউন্টার প্রসঙ্গে নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের পুলিশ বাহিনীর। এর মধ্যে কোন এনকাউন্টারগুলি আইনত সঠিক এবং কোনগুলি সাজানো এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।