শুক্রবার গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে এলএসি বরাবর ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পেরেকযুক্ত লাঠি নিয়ে এলএসি অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনের পিপলস আর্মির তিনশ জন সেনা। ১৭ হাজার ফুট উঁচু একটি চূড়ার শীর্ষে ওঠার চেষ্টা করে তারা তবে ভারতীয় সেনারা বাঁধা দেওয়ায় সফল হতে পারেনি তারা। ভারত-চিন সংঘর্ষে ৭ জন ভারতীয় জওয়ান আহত হন যাদের গুয়াহাটিতে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । বেশ কিছু চিনা সেনাও আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনও দেশের সেনারাই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি এ’দিন। লাঠালাঠিতে সংঘর্ষ হয়েছে।
এই ঘটনার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সংঘর্ষের পরে দেশে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি ফ্ল্যাগ বৈঠকও করা হয়েছে। যার দরুন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে চিনা সেনারা। এদিকে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে আজ একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ শিং।
আজ সংসদে এ ব্যাপারে বিবৃতি পেশ করার কথা তাঁর। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন সামরিক বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজনাথ। ভারত-চিন এই সংঘর্ষে আবার রাজনৈতিক রঙ লাগিয়েছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়েগ টুইট করে লেখেন, ‘মোদী সরকারের চিনা সেনার সীমা লঙ্ঘন নিয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা উচিত। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এলএসি-র কাছে চিনের নির্মাণ কাজগুলির ব্যাপারে সংসদে আলোচনা করে আরও বেশি সৎ হওয়া উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।‘ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সহ একাধিক বিরোধী দলের সাংসদরা এই ইস্যু নিয়ে সরকারের বিবৃতি চেয়ে সংসদে মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন