কেন্দ্রের কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে গত নভেম্বর মাস থেকেই শুরু হয় কৃষক বিক্ষোভ। ইতিমধ্যেই ১০ দফা বৈঠক হয়ে গিয়েছে, তাতে যদিও মেলেনি কোনো সুরাহা তাই আজ বিজ্ঞান ভবনে ১১ দফার বৈঠকে সামনা সামনি হচ্ছেন কৃষক মোর্চা ইউনিয়ন এবং কেন্দ্র। এই কৃষক আন্দোলনে প্রায় ৩ লক্ষের বেশি কৃষক সামিল হয়েছিলেন । দাবি ছিল সম্পূর্ণ কৃষক আইন প্রত্যাহারের । সেই দাবি না মানায় একের পর এক কর্মসূচি অবলম্বন করেন তাঁরা। প্রথমে ট্রাক্টর মার্চ তারপর শপিং মল এবং পেট্রলপাম্প বন্ধের কথা বলেন তাঁরা। পাশাপাশি কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন – যদি কৃষি আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আগামী 26 শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে করা হবে আরও বড় ট্রাক্টর মার্চ।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং কৃষক ইউনিয়ন গুলির মধ্যে কথাবার্তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সুপ্রিমকোর্টকে সরাসরিভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় । সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আপাতত এই কৃষি আইনের মুলতবি ঘোষণা করতে। যদিও এই নির্দেশের বিপক্ষে কৃষক ইউনিয়ন । তাদের দাবি কেবলমাত্র কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া কিছুই চাননি তাঁরা তাহলে সেক্ষেত্রে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না কেন ! ওদিকে কেন্দ্র এবং কৃষক ইউনিয়নগুলির মধ্যবর্তী দূরত্ব কমাতে তৈরি করা হয়েছিল নিরপেক্ষ কমিটি। পাশাপাশি কৃষকরা তাদের যুক্তি-তর্কের খাতিরে একের পর এক কর্মসূচি করে চলেছেন । কিছুদিন আগেই তারা মহিলা কৃষক দিবস পালন করেছেন । জানিয়েছেন, দেশের কৃষকদের মধ্যে অন্তত ৭৫ শতাংশ মহিলা কৃষক আছেন । যদিও তাদের যথেষ্ট সম্মান এবং কৃষকের খেতাব দেওয়া হয় না। সেক্ষেত্রে যে সমস্ত মহিলা কৃষকেরা অপুষ্টির শিকার হন এই আইনের প্রত্যাহারের ফলে তারাও যথেষ্ট পুষ্টি প্রাপ্ত হবেন। পাশাপাশি এও বলা হয় – যে সমস্ত কৃষকেরা ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেন সেই সমস্ত কৃষক পরিবারের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে।
কেন্দ্র গতকাল তিনটি কৃষি আইন ১৮ মাসের জন্য স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছিল প্রতিবাদী কৃষক সংগঠনগুলির কাছে। তবে সেক্ষেত্রে কৃষক ইউনিয়নের তরফ থেকে জানানো হয় এই গণ আন্দোলনের সময় ১৪৩ জন কৃষকের মৃত্যু হয়, তাদেরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই, এই কৃষক ইউনিয়ন তাই কোন ভাবেই তাদের মৃত্যুকে বৃথা যেতে দেবে না ।এই কৃষক আইনগুলি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনো দাবিই মানছে না কৃষক ইউনিয়নগুলি।