বিজেপির নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়ার পরিস্থিতি। বিজেপি এবং তৃণমূল দুই পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নেয় বেলগাছিয়া। আগামী ২৯ শে এপ্রিল অষ্টম দফায় ভোট বেলগাছিয়ায়। তাই এখনো এই এলাকায় চলছে জোর কদমে প্রচার। আজ সন্ধ্যায় প্রার্থী শিবাজী সিংহ রায়ের ভোট প্রচারে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। আর ঠিক সেই সময়ই হামলা চালানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উঠছে এমনই অভিযোগ। এই দুপক্ষের সংঘর্ষ কে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলগাছিয়া এলাকা।
শুধু তাই নয় গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চালানো গুলিতে তিনজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছিল বঙ্গের রাজনীতি। এরপর আবার আজ খোদ কলকাতার বেলগাছিয়ার মত ঘন বসতি এলাকায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুন্যে গুলি চালায় বাহিনী, এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্রের মাধ্যমে।
শুক্রবার বিকেলে বেলগাছিয়ার ট্রাম ডিপোর কাছে একটি জনসভা করেন অর্জুন সিং। বিজেপির অভিযোগ, সেখানে অর্জুন সিংয়ের উপর হামলার চেষ্টা করে কয়েকজন। এরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে দাবি তাঁদের। বিজেপি সূত্রে খবর, অর্জুনকে ঘিরে ধরে কয়েকজন। তার জেরে সাংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ শূন্যে চার রাউন্ড গুলি চালায় বলে খবর।
অর্জুন সিং বলেন, “প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সভা চলছিল। কিন্তু ওই এলাকার কয়েকজন সভামঞ্চে উঠে জামার কলার ধরে আমাকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।” তাঁর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত এই দুষ্কৃতীরা গুলিও ছোড়ে। তার পরেই বাধ্য হয়ে শূন্যে গুলি চালিয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা।
এদিকে তৃণমূল প্রার্থী অতীন ঘোষের পালটা অভিযোগ,” সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ওই এলাকায় ধর্মীয় ভেদাভেদের কথা বলছিলেন বিজেপি সাংসদ। এর প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। তারপরেই এই অশান্তি।”