স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেবে কিনা তা ঠিক করতে আজ বৈঠকে বসতে চলেছেন কৃষকরা। তারপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাব মতো কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা নিয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।
কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। কৃষকরা লং মার্চ করে জড়ো হয়েছেন পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানায়। একটি দল রাজধানীতে ঢুকতে পারলেও সেখানে বিক্ষোভের অনুমতি না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়ে তারা। এদিকে কৃষকদের হঠাতে জলকামানেরও ব্যবহার করে পুলিশ। তবে তাতেও দমানো যায়নি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। জাতীয় সড়কের বহু জায়গায় ট্র্যাক্টর-ট্রলির ওপর টানা চার দিন ধরে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার কৃষকদের সামনে শর্ত সাপেক্ষে আলোচনার প্রস্তাব রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কৃষকদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের বুরারি গ্রাউন্ডে জমায়েত হওয়ার আবেদন করেন। সেখানে তাঁদের কর্মসূচি পালনে দিল্লি পুলিশের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।সেইসঙ্গে কৃষকদের তিনি শর্ত দেন, যদি তাঁরা বুরারি গ্রাউন্ডে চলে যান, তবে ৩ ডিসেম্বরের আগে কৃষক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে সরকার।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমন শর্ত সাপেক্ষ প্রস্তাবে মন গলেনি বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। আর তাই পরবর্তী রণনীতি ঠিক করতেই আজ নিজেদের মধ্যে বৈঠকে
কৃষকেরা।