রাজ্যে শাসক-বিরোধী নেতাদের একে অপরকে কটাক্ষ করা, হুঁশিয়ারি এসব তো লেগেই থাকে। কেউ কাউকে নাজেহাল করতে ছাড়েননা। তবে এবারের ঘটনাটা একটু অন্য রকম। বলা ভালো এই ঘটনা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্য ছাপ ফেলেছে যা অত্যন্ত ধিক্কারজনক বলেই মনে করছে বিশিষ্ট মহল। কলকাতা পুরসভায় হুলুস্থুল কান্ড। শাসক-বিরোধী কাউন্সিলরদের মধ্যে তুমুল বচসা। অশান্তি চরমে পৌঁছলে শুরু হয় হাতাহাতিও। এই ধরণের ঘটনা এর আগে ঘটেনি। আজ শনিবারের এই ঘটনায় সকলেই রীতিমত বাকরুদ্ধ করে। তৃণমূলের অসিত বসুর সঙ্গে বিজেপি-র সজল ঘোষ, বিজয় ওঝার কার্যত হাতাহাতি বাধে। একে অপরের উদ্দেশে কু-মন্তব্য করা থেকে শুরু করে কলার ধরা, হুমকি, ধাক্ষা, ঠেলাঠেলি কোনও কিছুই বাদ পড়ল না! অশান্তি মেটাতে মাঠে নামেন ফিরহাদ। তবে তাকেও নাকি হেনস্থার শিকার হতে হয় বলেই অভিযোগ।

প্রসঙ্গত অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের মালা রায় সজল ঘোষকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নবাণ ছোঁড়েন- আপনাদের বিরোধীদের কেন কোনও প্রশ্ন থাকে না? বিজেপি নেতা মালা রায়ের প্রশ্নের পালটা জবাবে বলেন, “বলেও কোনও লাভ হয় না। মেয়র-ডেপুটি মেয়র কোনও উত্তর দেয় না।” আর তখনই সজল ঘোষ এবং বিজয় ওঝার দিকে তৃণমূল কাউন্সিল অসীম বসু তেড়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, মেয়রকে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য কখনই করা যায় না। আর তারপরই শুরু হয় মূল অশান্তি। কথা কাটাকাটি থেকে শুরু করে হাতাহাতিতে চলে যায় এই সংঘর্ষ। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে, মহেশ শর্মা সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপি কাউন্সিলরদের উপর চড়াও হন। মারধরের অভিযোগ ওঠে। এরপর মালা রায় উঠে বেরিয়ে যান। মেয়র-ডেপুটি মেয়র থামাতে গেলে তাদেরও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অকথ্য ভাষায় একে অপরের দিকে কু-মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়া হয়। এরপরই কার্যত স্তব্ধ রাজনৈতিক মহল।