ক্রমশই দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা, গোয়া, অসমেও নিজের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৎপর হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, এবার গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পদাঙ্কই অনুসরণ করতে চলেছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা! সূত্রের খবর, মেঘালয়ের এই প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূল শিবিরে যোগদান করতে পারেন উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের অন্তত এক ডজন কংগ্রেস বিধায়ক। মেঘালয়ের কংগ্রেসের ভাঙন আপাত ভাবে সুস্পষ্ট।

২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব সামলেছেন মুকুল। বর্তমানে ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখ তিনি। কিন্তু হঠাৎ কেন তিনি কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? স্থানীয় সূত্রের খবর অনুসারে, মাস দেড়েক আগে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত লোকসভা সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নিয়োগ করা হয় শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে। তার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মুকুল। এবার কি তবে দলের প্রতি শুধুই অভিমানের জেরে দল ছাড়তে চলেছেন মুকুল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়লে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অসমের সুস্মিতা দেব-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একাধিক কংগ্রেস নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। রাষ্ট্র রাজনীতিতে যে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বলার আর অপেক্ষা থাকেনা।