মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফের রাজ্য জুড়ে ইডির তল্লাশি। একশো দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে সল্টলেক সহ রাজ্যের তিন জেলায় মোট ছ’টি দলে ভাগ হয়ে ইডি অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সল্টলেক, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও হুগলীর ধনেখালিতে। বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে পঞ্চায়েত কর্মী রথীন দে-র বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা যান সল্টলেকের বিদ্যাসাগর আবাসনে, প্রাক্তন আধিকারিকের বাড়িতেও। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পুলিশে।
ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যে এক ডব্লিউবিসিএস অফিসারের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার ইডির নজরে ঝাড়গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের বিলাসবহুল আবাসনে অভিযানে নামেন ইডির আধিকারিকরা। আনুমানিক আটটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম শহরে হানা দেয় ইডির তদন্তকারীরা। সকাল হতে না হতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এক প্রতিনিধি দল ঝাড়গ্রামের বাছুরডুবা হাউসিং ব্লক-বি সরকারি আবাসনে অভিযান চালায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বিষয় এবং ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। পঞ্চায়েত কর্মী রথীন দে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বে ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং সেই টাকা তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। রথীন দে নওদার পঞ্চায়েতের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন। আগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নওদা ও বেলডাঙার বিডিও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। দোষী প্রমাণিত হতেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
বর্তমানে সাসপেন্ডেড রথীন দের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় সমান প্রমাণ রয়েছে বলে অভিযোগ ইডির। এবার পঞ্চায়েত দুর্নীতি, একশো দিনের দুর্নীতি কাণ্ডে বহরমপুরের বিষ্ণুপুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডির তদন্তকারি আধিকারিকের দল। অন্যদিকে, হুগলির ধনেখালিতেও ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত এক প্রাক্তন বিডিও এস কে পান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সল্টলেকের বিদ্যাসাগর নিকেতনে ওই প্রাক্তন ডব্লিউবিসিএস অফিসারের বাড়িতে হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা। একই অভিযোগে চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রথমে ভুল ঠিকানায় যাওয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ির ঠিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়। পরে ভুল বুঝে ইডি আধিকারিকরা সেখান থেকে ফিরে যান।