![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/11/WhatsApp-Image-2021-11-18-at-3.09.18-PM.jpeg)
প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার নিঃশব্দ ঘাতকের এক নাম। উপরন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের লক্ষণগুলি প্রাথমিক অবস্থায় বুঝতে না পারার জন্যই প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে। ফলত, প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার অভাবে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে, ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে থাকে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে।
আজ ওয়ার্ল্ড প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার ডে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই সকল খাবার সম্পর্কে যেগুলি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে কমতে অথবা বাড়তে পারে প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সারের ঝুঁকি।
স্বাস্থ্যকর খাবার:
১) ফল ও সবজি- প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার এড়াতে বেরি, সাইট্রাস ফল, সবুজ শাকসবজি এবং কপি জাতীয় সবজি খান। এগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং ফাইটোকেমিক্যাল ।
২) লিন প্রোটিন- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কোষ ও টিস্যুকে পুনরায় গঠনে সাহায্য করে এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে ত্বরান্বিত করে। এর জন্য খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন ডিম, বাদাম, চিকেন, মাছকে ।
৩) উচ্চ-ফাইবার যুক্ত খাবার- যে সব খাবারে ফাইবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ থাকে যেমন- আলু, বিনস, ডাল, ওটমিল, ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। এগুলো অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৪) গ্রিন টি- গ্রিন টিয়ের মধ্যে এক প্রকার অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান পলিফেনল রয়েছে।
৫) স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- আপনি যদি অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে ভোগেন তাহলে কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখতে হবে খাদ্যতালিকায় যেমন অলিভ অয়েল, বাদাম, অ্যাভোকাডো।
ক্ষতিকর খাবার:
১) রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস হজম করা কঠিন, তাই ক্যান্সার রোগীদের এগুলি খাওয়া অনুচিত ।
২) চর্বিযুক্ত খাবার এবং ফ্রায়েড ফুডে মাত্রাতিরিক্ত ফ্যাট থাকে এবং যেসব খাবার অত্যধিক তেলে রান্না করা হয়, সেই সব খাবার একেবারেই মুখে তোলা যাবে না।
৩) চিনি এবং রিফাইন কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার নৈব নৈব চ। এই সব খাবারের ক্ষেত্রে ক্যান্সার রোগীদের ডায়বেটিসের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
৪) যে কোন প্রকার সস থেকে একেবারেই দূরে থাকুন
৫) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অ্যালকোহল পান থেকে দূরে থাকুন। অ্যালকোহল অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারকে আরও মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে ।