কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৬ জানুয়ারি কৃষক সংগঠনগুলি বিরাট কৃষক মিছিল ও ট্রাকটর ব়্যালির পরিকল্পনা করছে । দিল্লী ছাড়াও সীমান্ত অঞ্চলে বহু কৃষকের সমাগম ঘটেছে, তাঁরাও যদি আসন্ন এই র্যালিতে জোগ দেন তাহলে দিল্লীর অবস্থা যথেষ্ট চিন্তাপূর্ণ হতে পারে বলেই আশংকা কেন্দ্রের । আগামী ১৫ ই জানুয়ারি ফের আরেক দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসবে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলি । বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মিছিল করা হবে কিনা এবং মিছিল হলে তা কোন দিকে এবং কতদূর পর্যন্ত যাবে ।
সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির রাজপথে হবে শান্তিপূর্ণ মিছিল । এমনটাই জানানো হয়েছে । উল্লেখ্য, আইন নিয়ে শুনানি চলা কালীন আদালতের তরফে জানানো হয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতে পারে । সেই কারনেই এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের । তাঁদের হুঁশিয়ারি- সরকারকে আইন বাতিল করতেই হবে নাহলে এই বিক্ষোভে অনড় থাকবেন তাঁরা । এমনকি আসন্ন মিছিল ও ট্রাক্টর র্যালিতে লক্ষাধিক কৃষক অংশ নিতে চলেছেন, ওইদিন হবে ঐতিহাসিক দিল্লি সমাবেশ ।

কয়েকদিন আগেই এই আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত । কেন্দ্রকে স্পষ্ট ভাসায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে – এই আইন আপাতত স্থগিত থাকবে । এই সিদ্ধান্তে একেবারেই রাজি নয় কৃষক সংগঠন । তাঁদের বক্তব্য, আইনে স্থগিতাদেশ দিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার । এটা নাকি সরকারের পরিকল্পনা । তাই, এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ তাঁরা । নয়া এই আইন একেবারে প্রত্যাখ্যান করলে তবেই তাঁরা আন্দোলন থেকে বিরত থাকবেন নাহলে ২৬ জানুয়ারির মিছিল হবেই । যা কেন্দ্রের গলায় কাঁটার মত বিঁধছে । কারন, সাধারনতন্ত্র দিবসের দিন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কৃষক বিক্ষোভের মিছিল দিল্লি ঢুকলে আন্তর্জাতিকস্তরে বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছে সরকার ।