ফের রোগী মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র হাসপাতাল চত্বর। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলো কর্তব্যরত ডাক্তার এবং নার্সের বিরুদ্ধে। বুধবার কয়েকশো মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রোগী পরিবারের সদস্যরা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জুনপুট উপকূল থানার রঘুসর্দাদবাড় গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা একটি অটো ভাড়া করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার জন্য দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেইসময় অসাবধানতাবশত যাত্রীবাহী অটোটি উল্টে যায় এবং গুরুতর জখম হন অক্ষয় বিজলি সহ পরিবারের বাকি সদস্যরাও। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও সেখানে সেই সময় কোনো চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না এমনটাই অভিযোগ। পরিবারের দাবি, কর্তব্যরত নার্সকে চিকিৎসার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও কোনো গুরত্ব দেয়নি তারা। এর ফলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় অক্ষয় বিজলির (৩২)। এরপরই কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
![news_1300](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/contaihospital-1024x551.jpg)
মৃত যুবকের বাবা দুলাল বিজলির দাবি” বিনা চিকিৎসার কারণে আমার ছেলেকে হারালাম। কর্তব্যরত নার্সের গাফিলতির কারণে মৃত্যু হল আমার ছেলের। হাসপাতলে কোন চিকিৎসক ছিল না। বারবার অনুরোধ করার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ছিলেন না কোন হাসপাতালে আধিকারিকরা। আমার ছেলেকে কেড়ে নিলো অন্য কোন যাতে কোল খালি না হয় কর্তব্যরত নার্স এবং চিকিৎসকদের শাস্তির দাবী জানাই “। এদিন হাসপাতালের সামনে কার্যত ভেঙ্গে পড়েন মৃত যুবকের মা অম্বিকা বিজলি। তিনি দাবি করেন “এই নার্সের কারণেই আমার ছেলেকে হারালাম। আমি ডাক্তারকে খুন করে জেলে যেতে চাই “। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বারবার এরকম একাধিক গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে। এই ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করে দিল হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঔদাসীন্যতা