কৃষকদের দুর্দমনীয় জেদের কাছে শেষপর্যন্ত মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ ঘোষণা করেছেন, বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে সরকার। অনুরোধ করেছেন আন্দোলনরত কৃষকদের বাড়ি ফিরে যেতে। কিন্তু তারপরেও থামছে না আন্দোলন। প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় যেন ভরসা রাখতে পারছেন না আন্দোলনকারী কৃষকরা। কৃষকদের যৌথ সংগঠন সংযুক্ত কিষান মোর্চা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধু মৌখিক আশ্বাসই যথেষ্ট নয়। যতদিন না সরকার সংসদে বিল এনে সরকারিভাবে আইন প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন স্থল ছেড়ে নড়বেন না। শুধু তাই নয়, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি কৃষকদের রয়েছে সেগুলিও মেনে নিতে হবে সরকারকে। যার স্পষ্ট অর্থ, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও আজ থেকে প্রত্যাহার হচ্ছে না কৃষক বিক্ষোভ।
এদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, “সংযুক্ত কিষান মোর্চা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব এই ঘোষণা কার্যকর হওয়া পর্যন্ত। এটা হলে আমাদের এক বছরের আন্দোলন ঐতিহাসিক সাফল্য পাবে। এই আন্দোলনে ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের একগুঁয়েমিই এইসব মৃত্যুর জন্য দায়ী।” সংযুক্ত কিষান মোর্চা এদিন প্রধানমন্ত্রীকে যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে, “এই আন্দোলন শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহারের আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলনের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল সব ফসলের ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিত করা। সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ আইনের সংশোধনীও প্রত্যাহার হয়নি। সুতরাং, এই সব বিষয়েই আমরা নজর রাখব।” ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এর নেতা রাকেশ টিকায়েতের দাবি, “সবে তো শুরু! যত দিন না সংসদে এই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পাশ হচ্ছে তত দিন অবস্থান জারি থাকবে। খুঁটি তখনই উঠবে যে দিন কাজ পাকা হবে।”