উত্তরাখণ্ডের গ্লেসিয়ারের হড়পা বান আসার ফলে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রাধীন হয়নি। ফলে বহু গ্রামের সাথে উত্তরাখান্ড সদর শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । সুতরাং ত্রাণের কাজ পৌঁছানোর জন্য , ভারতীয় জওয়ানরা সদা তৎপর রয়েছেন। মেজর উৎকর্ষ শুক্লা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষদের উদ্ধার করতে ট্রলির ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় জওয়ানদের তরফ থেকে। এমনকি তপবন বাদের যে জায়গাটি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে কাজ করছে ভারতীয় সেনাদের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ । সেখানে ত্রাণকার্য চালানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দড়ির সেতু, এর ফলে সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকা গুলি তো পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে জওয়ান দের পক্ষে।
প্রায় ১৩টি গ্রামের সঙ্গে এভাবেই সম্পর্ক রাখা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য ৮ সিটের একটি এয়ারবাস হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমস্ত পর্যটকদের উদ্ধার করা হচ্ছে এই হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে। পাশাপাশি উদ্ধার কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্দুর টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশরা । এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ফলে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাই নিয়ে আসে হয়েছে কয়েক ডজন সোলার পাওয়ার ব্যাংক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে এই সোলার পাওয়ার ল্যাম্পগুলির। মিলিটারির Mi-17 ও চিনুক হেলিকপ্টার ওই গ্রামগুলিতে পৌঁছতে পারেনি। তাই কমার্শিয়াল ক্র্য়াফট ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানত দুটি ভাবে উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা চলছে যেখানে কাদামাটি টানেলের ভেতর রয়েছে সেখানে ভারতীয় যাওয়ার চেষ্টা করছে সে কাদামাটি পরিষ্কার করার এবং যেখানে টানেলের ওপরেও কাদামাটিতে পরিপূর্ণ হয়ে আছে সেখানে ভারতীয় জওয়ানরা হুকের মাধ্যমে পৌছে গিয়ে তা পরিষ্কার করার প্রচেষ্টা করছেন।