ভোট বড় বালাই। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজ্যে সরকারি পদে নিয়োগ নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নিয়োগের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক থেকে শুরু করে পুলিশ, চিকিৎসক, নার্স সহ মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

নবান্ন থেকে মমতা বলেন, “রাজ্য সরকার বিভিন্ন দফতরে আরও ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো কর্মীনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দু-এক মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। রাজ্যে ১১ হাজার প্রাথমিক, ১৪ হাজার ৫০০ উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদ রয়েছে। আমরা দ্রুত এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২,২০০ জন অধ্যাপক নিয়োগের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। পুলিশবাহিনীর বিভিন্ন পদে ২০,০০০ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবগারি কন্সটেবল পদে ৩,০০০ নিয়োগ হচ্ছে। রাজ্য সরকারি গ্রুপ ডি পদে আমরা আরও ১২ হাজার কর্মী নিয়োগ করছি। গ্রুপ সি পদেও ৩,০০০ নিয়োগ হবে।”

স্বাস্থ্য দফতরেও নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “২,০০০ ডাক্তার নিয়োগের পরিকল্পনা করেছি। ৭,০০০ নার্স নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ২,০০০ এবং ৭,০০০ আশা কর্মীও নিয়োগ হবে। সমাজকল্যাণ দফতরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পদে আমরা শীঘ্রই ৯,৪৯৩ জনকে ও সহায়ক পদে ১৩,৯২৬ নিয়োগ করব। এছাড়া রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদে আরও ১৭ হাজার জন কর্মী নিয়োগ হবে। সব মিলিয়ে এই ১ বছরের মধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করব। এদিন নিয়োগের ঘোষণার পাশাপাশি বিরোধীদেরও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “শুধু আমরা চাইব, চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই চাকরি বাতিল করা আর চাকরি বাধা দেওয়া এটা দয়া করে কোনও রাজনৈতিক নেতারা করবেন না। যুবকদের স্বার্থে, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে।”
পাশাপাশি এদিন মনিপুরে যেতে চান বলেও জানান মমতা। তিনি জানান, সোমবারই তিনি চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অনুমোদন দিলে তিনি যাবেন ও মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।” মণিপুর যেহেতু সেনাবাহিনীর ঘেরাটোপে আছে, তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে অনুমোদন চেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি কোনও শান্তি বিঘ্নিত করতে চাই না। কোনও নিয়মও লঙ্ঘন করব না।” তবে এদিন বাইরন বিশ্বাসের যোগদান সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা।