নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর: বঙ্গে ভোটযুদ্ধের আজ দ্বিতীয় দফা। রাজ্যের ৪ জেলার ৩০ আসনে আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেই নন্দীগ্রামেই ব্রজমোহন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ভোট দিতে গিয়ে ফিরে আসতে হল স্বামী-স্ত্রীকে। তাঁদের নাম মৃত বলে ভোটার লিস্টে রয়েছে বলে অভিযোগ, নন্দীগ্রামের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র পট্টনায়েক ও তার স্ত্রী নিবেদিতা পট্টনায়েকের। ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সেখানে ভোট দিতে না পারা মানে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া। সুভাষচন্দ্র পট্টনায়েক ও তার স্ত্রী নিবেদিতা পট্টনায়েক ব্রজমোহন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬৯ A বুথের ভোটার।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/unnamed.jpg)
সকাল বেলা লাইন দিয়ে বুথ কেন্দ্রে ঢুকে দুজনেই জানতে পারেন ভোটার লিস্টে তারা মৃত। তাই ভোট না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে হয়। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে এসে দলীয় বুথ ক্যাম্পে গিয়ে দেখেন তাঁদের নাম ভোটার লিস্টে কোনো মৃত বলে লেখা নেই। যা নিয়ে সংশয়ে পরেছেন সুভাষ বাবু ও তার স্ত্রী। অন্য দিকে গোটা ঘটনায় যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একজন জীবিত মানুষকে মৃত বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যে কারণে ভোট দিতে পারলেন না স্বামী-স্ত্রী। যদিও এই ঘটনা আজ প্রথম নয় , এর আগেও বহু নির্বাচনের সময় আমরা এই ঘটনা দেখতে পাই । জায়গা স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার পরেও পুরনো কেন্দ্রের নাম আসে সেই ব্যক্তির ,কোথাও নতুন কেন্দ্রে নাম আসেনা আর একজন জীবিত মানুষকে মৃত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা এবং তার কাছ থেকে গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া একটি অপরাধ । কিন্তু এত বড় ঘটনার পরেও কি দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ?