২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। আজ গাড়োতে রাজাবালায় জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে রাস্তাঘাট সব কিছুতেই বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন মমতা। বলেন, ‘দিল্লি কিংবা গুয়াহাটি থেকে এ রাজ্য চলবে না। মেঘালয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার করুণ অবস্থা, রাস্তাঘাট নেই, পাঁচ বছর ধরে এখানে সরকার করছেটা কী? কারও শরীর খারাপ হলে কলকাতা কিংবা গুয়াহাটি যেতে হয়। আমরা তো আপনাদের সাহায্য করবই কিন্তু কেন মেঘালয়ে মেডিক্যাল কলেজে হবে না, রাস্তাঘাট হবে না, লক্ষ্মীর ভান্ডার হবে না? কথায় কথায় গুলি, কেন্দ্র থেকে কটা দল আসে? বাংলায় কথায় কথায় সেন্ট্রাল টিম পাঠিয়ে দেয়। এখানে সীমান্ত গুলি চলে। ওরা তো একবারও দেখতে আসে না।’
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘মেঘালয়ের মানুষের জন্য মেঘালয়। বাইরের লোকজন এসে শাসন করবে, আপনাদের উপরে কখনও এনআরসি চাপিয়ে দেবে, কখনও সিএএ চাপিয়ে দেবে, কখনও গুলি চালিয়ে দেবে এটা সহ্য করবেন না।’
এদিন রাজাবালা মাঠের সভায় দেখা গেল থিকথিকে ভিড়। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর আগে বক্তব্য রাখেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মেঘের রাজ্যে প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, ‘মেঘালয়ে মুক্তির সূর্য উঠবে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেই উৎখাত হবে এনপিপি–বিজেপি সরকার।’ বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার পাঁচ বছরে কী করেছে? বলে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
অভিষেক আরো বলেন, ‘মেঘালয় পরিবর্তন দরকার, উন্নয়ন দরকার আর সেই উন্নয়ন তৃণমূলের হাত ধরেই আসবে। কারণ, তৃণমূলই একমাত্র দল যারা মেরুদণ্ড বিক্রি করে না। বিজেপির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে পারে শুধু তৃণমূলই।’ অভিষেকের প্রশ্ন, ‘কেন দিল্লি, গুয়াহাটি থেকে মেঘালয় চলবে? মেঘালয়ে এমন সরকার গড়তে হবে, যে সরকার মেঘালয়ের মানুষের কথা বলবে।’