করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে সারাবিশ্ব নাজেহাল।পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও করোনা সংক্রমনের দাবদাহ প্রচন্ড আকার নিতে শুরু করেছে। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে করুণ পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। এই কারণে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে বসবেন মোদী । সেখানে বিশেষত আলোচনা করা হবে আগামী দিনে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায় তা নিয়ে! ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্যে। বিধানসভা নির্বাচন চলছে বলে বাংলায় এই মুহূর্তে লকডাউন হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিত্য যেভাবে দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, সেই প্রেক্ষিতে সংক্রমণের গতিকে কীভাবে নিয়ন্ত্রনে আনা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে বলে জানা গেছে।

পাশাপশি টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। ১৭ই মার্চ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেখানে বিশেষত করোনা সংক্রমণের তীব্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন । সেদিন মিটিং-এর পর জারি করা বিবৃতিতে পাঁচটি বিষয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছিল- টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট, করোনা বিধি মানুষ মানছে কিনা তা নজর রাখা এবং টিকাকরণ। সেদিন বৈঠকের পরে ধার্য করা হয় এই পাঁচটি বিষয়কে অতিরিক্ত কৌশলগতভাবে মেনে চলতে পারলেই সংক্রমণের হার প্রতিহত করা সম্ভব হতে পারে বলে ।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৬৫ জন। এর জেরে দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫ হাজার ২১। এদিকে দেশের যাবতীয় চিন্তা বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৫৯ হাজার ৯০৭ জন।করোনা সংক্রমনের দিক থেকে মহারাষ্ট্রের পর্বটি স্থান করে নিয়েছে দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্য ।