ইমরান খানের গ্রেফতারির পর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান। কোথাও ভাঙচুর করা হচ্ছে সেনা আবাসন, কোথাও আবার রাস্তাঘাটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী-সমর্থকরা।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/05/WhatsApp-Image-2023-05-10-at-10.50.10.jpeg)
মঙ্গলবার ইসলামাবাদের একটি আদালতে প্রবেশ করার মুখে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে গ্রেফতার হন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তারপর থেকেই ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে লাহোর, কোয়েটা, বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পিটিআই সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মিলিটারির সংঘর্ষে এক পিটিআই সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/05/download-3.jpg)
পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, আইনজীবী ও নিরাপত্তারক্ষীর ঘেরাটোপে ছিলেন ইমরান খান। পাক রেঞ্জার্সরা তাদের মারধর করে, কাচ ভেঙে টেনে হিচড়ে বের করেন ইমরান খানকে গ্রেফতার করেন। আল কাদির ট্রাস্ট জমি দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইমরান খানের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই জায়গায় জায়গায় অশান্তি শুরু হয়।
ইসলামাবাদে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ধুন্ধুমার শুরু হয় পুলিশ ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে। অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাহোর, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পঞ্জাব প্রদেশ অবধি। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পরিস্থিতি সামলাতে পরে সেনাও নামানো হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের টেলিকমিউনিকেশন কর্তৃপক্ষ টুইটার সহ যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্লক করে দিয়েছে। ইসলামাবাদ সহ একাধিক শহরে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অশান্তির আশঙ্কায় পাকিস্তানের অধিকাংশ জায়গাতেই আজ বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।