শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস উপলক্ষে নন্দীগ্রামে শাসক-বিরোধী সংঘাত তুঙ্গে। একই ব্যানারে আলাদা আলাদা স্মরণ সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী ও কুণাল ঘোষ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই সভা মঞ্চ থেকেই একে অপরের প্রতি আক্রমনাত্মক তৃণমূল ও বিজেপি। ছোড়া হল উত্তপ্ত বাক্যবাণ। মূলত ২০০৭ সালের ৭ই জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম ও ভরত মণ্ডলের। প্রতি বছর এই দিনটিতে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফে শহীদ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, তৃণমূল ও বিজেপির তরফে আলাদাভাবে এই দিনটি পালন করা হয়।
এদিন ভোর ৫টা নাগাদ নন্দীগ্রামে ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তৃণমূল শহিদ স্মরণ সভার আয়োজন করে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, কারামন্ত্রী অখিল গিরি সহ অন্যান্য নেতামন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন এই সভায়। মোমবাতি মিছিল সহ ফুল দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হলদিয়া-নন্দীগ্রাম সেতু তৈরির কথাও ঘোষণা করেন কুণাল ঘোষ।
পাশাপাশি মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামের আন্দোলনকারীরা কেউ বিজেপির সাথে নেই। সিপিএম একসময় যেমন আন্দোলনকারীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাত ঠিক তেমনি শুভেন্দু কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে আন্দোলনকারীদের ফাঁসাচ্ছে।‘ পাশাপাশি সকাল ৮টা নাগাদ ভাঙাবেড়া ব্রিজের ২০০ মিটার দূরে শহিদ মিনারে ওই একই ব্যানারে আলাদা একটি স্মরণসভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সভা থেকে তিনি তৃণমূলকে পালটা নিশানা করেন।
আরও পড়ুন