নারদা কান্ডের সিবিআইয়ের নাটকীয় তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় ৪ হেভিওয়েট নেতাকে। বর্তমানে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণেই ধৃতদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও জেলে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। বর্তমানে গায়ে জ্বর এবং পেটে ব্যাথা থাকলেও এসএসকেএম-এ ভর্তি হননি তিনি। তবে জনা যাচ্ছে তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হবে । গতকাল রাত্রি ৯:১৫ নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা দেখা করতে গিয়েছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণেই জেলের চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করছেন। ওদিকে কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মদন মিত্র। মূলত পোস্ট কোভিড সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই বর্তমানে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও বর্তমানে বেশ কিছুটা স্থিতিশীল আছেন তিনি।
পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাময়িকভাবে জেলে গেলেও পুনরায় হাসপাতালে ফিরতে হয় তাঁকে। মূলত চেস্ট এক্সরে এবং নেবুলাইজার দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও বর্তমানে বেশ খানিকটা সুস্থ আছেন তিনি। ওদিকে তৃণমূল ছাড়লেও রক্ষা পাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়, গ্রেপ্তার হওয়ার পরে উচ্চ ডায়াবেটিস এবং সিওপিডির সমস্যা থাকার কারণেই শারীরিকভাবে বেশ খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বর্তমানে উডর্বান ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই তিন হেভিওয়েট নেতা।
নারদা কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া এই তিন নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে দ্রুত চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এই মেডিকেল বোর্ড চালনা করছেন হূদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সরোজ মন্ডল। মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন হাসপাতালের মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান সৌমিত্র ঘোষ এবং চেস্ট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অমিতাভ সেনগুপ্ত ৷ জানানো হচ্ছে প্রয়োজনে নিউরোলজি এবং ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞদেরও মেডিক্যাল বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে ৷ যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই তিন হেভিওয়েট নেতাদের হৃদযন্ত্রের কমবেশি সমস্যা রয়েছে।