প্রায় শিয়রে উপনির্বাচন। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত হেভি ওয়েটের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নামতে রাজি নয় কেউই। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য,গত বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা প্রার্থী হয়ে হেরেছেন তাঁদের কেউই দ্বিতীয় বার হারতে চাইছেন না। অনেকেই সরাসরি ‘না’ বলে দিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই যে খালি লোক দেখানোই হবে এমনটাই ধারণা বিজেপির অন্দরমহলের। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন প্রবীণ নেতা তথাগত রায়। কিন্তু দল তখন নবাগত তারকা রুদ্রনীল ঘোষকে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে। কিন্তু এই উপনির্বাচনে তথাগত রায়ের কাছে ভবানীপুর আসনে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি ‘বয়সজনিত’ কারনে লড়তে রাজি হচ্ছেন না।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/09/bjp-ptiapr12-1618239352.jpg)
যদিও রুদ্রনীল ঘোষ জানিয়েছেন দল চাইলে ফের তিনি ভবানীপুর থেকে লড়তে প্রস্তুত। কিন্তু আর নবাগতদের উপর ভরসা রাখতে নারাজ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নাম শোনা গিয়েছে, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ভারতী ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। কিন্তু দলীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভোট লড়তে রাজি নন এঁরা। এছাড়াও নাম আছে আইনজীবি প্রিয়াঙ্কা টিবেরেওয়ালেরও। হাওয়ায় ভাসছে আরেকটি নামও। কাকুঁরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের নামও ঘোষণা করতে পারেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য,”অনেক নাম শোনা যাচ্ছে। সবই বাতাসে ভাসছে। কিন্তু যে নামজাদাদের কথা শোনা যাচ্ছে তাঁদের অনেকেই দাঁড়াতে চান না। এঁদের কারও কারও সঙ্গেই দলের তরফে কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু রাজি হননি। এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে কে প্রার্থী হবেন।”