এতদিন দলের বিরুদ্ধে কথা বললেও কোন পদ ছাড়েননি, এবার সেই পদক্ষেপ নিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, হুগলি নদী ব্রিজ কমিশনারের চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন তিনি। আর এরপরই জল্পনা আরও বাড়লেন শুভেন্দু। তবে কি এবার সরাসরি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী?
বুধবার হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনারসের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সময় নেয়নি রাজ্য সরকারও।বৃহস্পতিবার রাতারাতি সেই পদে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। বিদ্যাসাগর সেতু-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক বড় সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনারসের। সেই সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু। বুধবার কোনও কারণ ছাড়াই সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়াননি, আমিও কোথাও যাইনি”, এমনকি তাঁর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়েরও মন্তব্য ছিল, “শুভেন্দু দলেই আছেন”। কিন্তু সেই সব মন্তব্যের মাঝেই ফের শোরগোল ফেলে দিলেন শুভেন্দু।
কয়েকদিন আগেই অরাজনৈতিক ব্যানারে খেজুরিতে হার্মাদ মুক্ত দিবসের বর্ষপূর্তি পালন করেন অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী।তাঁর সভা থাকায় পূর্ব কল্পিত সভা বাতিল করে তৃণমূল। তবে সেই সভাতে রাজনৈতিক বিতর্কিত কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদকে। মূলত সেসময় কীভাবে হার্মাদ কবল থেকে খেজুরিকে মুক্ত করেছিলেন তিনি সেই ইতিহাসই মানুষকে শোনান। বলে রাখি, বেশকিছুদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুকে নিয়ে তরজা চলছে। শুভেন্দুর মান ভাঙাতে আসরে নামে তৃণমূলও। তবে তাতেও বরফ গলেনি বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।