গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। ঝুপড়ির ওপর নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন ৪ জন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ।
মৃতেরা হলেন, আকবর আলি (৩৪), রিজুয়ান আলম (২২), মহম্মদ ওয়াসির (১৯), হাসিনা খাতুন (৫৫), সামা বেগম (৪৪)। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় হাসপাতালে এখনও ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ সকালে গার্ডেনরিচের স্থানীয় হাসপাতালে ২ মহিলা প্রাণ হারান। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট খুব হচ্ছে। কাউন্সিলর, এমএলএ , এমপিরা খুব টাকা খাচ্ছে। লোকাল নেতারা টাকা খাচ্ছে। এখানে ব্রিজ ভেঙে পড়ে, নির্মীয়মান ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ে এখন বিল্ডিং ভেঙে পড়ছে। এই যে দুর্নীতি হচ্ছে যেখানে অর্ধেক টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে লোকাল নেতাদেরকে, কাউন্সিলরদেরকে কোনও মতে ইট বালি দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বেসরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যে ১৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এসএসকেএম হাসপাতালে আইসিইউ-তে ৭ জন ভর্তি। গার্ডেন রিচের বহুতল বিপর্যয়ের পর ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন। তবে শুধু ঘটনাস্থল নয়, হাসপাতালেও যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে যাঁরা আছেন, তাঁরা স্থিতিশীল।’’
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা বেদনার। তবে এটা নিয়ে এখনই রাজনীতি কাম্য নয়। আগে যেভাবে উদ্ধারকার্য চলছে তা সম্পন্ন হোক। তারপর এটা নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করতে চাইছেন, তাঁরা করুন।’
বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি ঘোষণা করেন, মৃতদের ৫ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে নির্মীয়মাণ বহুতলটি যে বেআইনি ছিল তা মেনে নিয়েছেন ববি হাকিম।