অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী বাঙ্গালীদের জন্য এই অ্যাডভেন্চারই হতে পারে বড় বিপত্তি, আর এই কথার সত্যতা প্রমাণ করে একই মাসে পরপর ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হল বেশ কিছু বাঙালি পর্যটকদের। মূলত দেরাদুনের বেড়াতে গিয়ে বিপর্যস্ততার শিকার হতে হয় বাঙালি পর্যটকদের মোট ১২ জনের এই দলটি । জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই খাদে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাত জনকে। ওদিকে,পর্যটন সংস্থার মালিককে আটক করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আসানসোল থেকে দেরাদুনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন এই ১২ জনের দলটি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে স্থানীয় মুন্সিরহাট থেকে সড়কপথে কৌশানি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এই দলটি করে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা।জানা যাচ্ছে ,ওই গাড়ি গুলির মধ্যে একটি গাড়িতে ছিলেন আসানসোল হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কঙ্কন রায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায় শ্যামা ব্রিজ পেরোনোর পরেই পিছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে, কোনমতে ড্রাইভার সেই ধাক্কা সামলে নিলেও, পেছনে তাকিয়ে দেখা যায়, পেছনের গাড়িটি ইতিমধ্যেই খাদে পড়ে গিয়েছে। কম করে ওই গাড়িতে মোট ১২ জন ছিলেন। তাঁর মধ্যে ইতিমধ্যেই ছয় সাত জনকে উদ্ধার করেছিলেন কঙ্কন বাবু এবং তাঁর বন্ধুরা। জানা যায় তারপরেই তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আর তারপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ । তার পরই পুলিশি তৎপরতাতেয় সমস্ত আহত ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।