এবার আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিল ফ্রান্স। গোপনে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক জাহাজ বিক্রি করে ফ্রান্সের রোষের মুখে আমেরিকা। আমেরিকার এই কার্যকলাপকে ‘পিছন থেকে ছুরি মারা’র সামিল বলেই
উল্লেখ করল তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টানটান উত্তেজনার পরিবেশ।
যদিও এবিষয়ে আমেরিকার দাবি, ফ্রান্স সর্বদাই তাদের গুরুত্বপূর্ন সঙ্গী। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বজায় থাকবে। কিন্তু মুখে এ কথা বললেও ফ্রান্স যে কার্যতই চটেছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল হোয়াইট হাউস। আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, “ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী ফ্রান্স। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নতুন সম্পর্ক নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আলোচনাও চালানো হবে।” অস্ট্রেলিয়ার সাথে ফ্রান্সের ব্যবসায়িক চুক্তি এগিয়ে যাওয়া থেকে যে ভাবে ব্যর্থ করেছে আমেরিকা সেই ব্যাপার নিয়ে অসন্তুষ্ট ফ্রান্স। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি প্যারিসের সাথে আলোচনায় বসতে চাইছে ওয়াশিংটন।
ফান্সের কাছ থেকেই ডুবোজাহাজ কেনার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু আমেরিকা সেখানে গোপনে চুক্তি করে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ভাগেই পারমাণবিক জাহাজ দেওয়ায় সরব হয়েছে চিনও। আমেরিকা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘দাদাগিরি’ এবং আগ্রাসী নীতির বরাবরই বিরোধিতা করেছে। এ ক্ষেত্রে পাশে পেয়েছে ব্রিটেন, জাপান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বন্ধু দেশগুলিকেও। ফলে জোটবদ্ধ হয়ে অনেকদিন ধরেই তারা চিনের প্রাধান্যকে খর্ব করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এই ব্যাপারে আমেরিকার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকায় বেজায় চটেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, আমেরিকা এবং ব্রিটেন যে ভাবে অস্ত্র বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছে তাতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত হবে। যদিও আমেরিকা এই দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে,”আমরা চিনের সঙ্গে কোনও রকম দ্বন্দ্বে যেতে রাজি নই।” আপাতত ফ্রান্সের সাথে ফের সুসম্পর্ক স্থাপন চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই আমেরিকার প্রধান কাজ।