আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রে। তার আগেই আজ পঞ্চম দফার নির্বাচনী প্রচারে বারাসাতে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু আজ বারাসাতেই সভা করার কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদি। তাই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। তবে দমিয়ে রাখা যাবে না তাঁকে, স্থগিত হয়ে যাওয়া সভা হতে চলেছে আগামীকাল। নির্বাচন কমিশনের দাবি মেনে নিয়ে আজ রাণাঘাট, বসিরহাট ও দমদমে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-12-at-12.34.41.jpeg)
শীতলকুচিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম । তাই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করা হল। আজ প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা বারাসাতের কাচারি মাঠে, সূত্রের খবর অনুসারে জানা গেছে সেখান থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরত্বে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই ফুঁসছে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা, তাই ফের সংঘর্ষ বাঁধার সম্ভাবনা নিয়ে তৃণমূলের সভা বাতিল করল নির্বাচন কমিশন । যদিও এই বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা বলছেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে খাটো নজরে দেখা হচ্ছে । নির্বাচন কমিশন নিজেকে নিরপেক্ষ বলতে পারেন না, কারণ নিরপেক্ষতার অর্থ হল উভয় দলকেই সমান নজরে দেখা।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এই একচোখামিতে তীব্র কটাক্ষ করেছেন যুক্ত দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও । তাঁরা বলেছেন ‘৭২ ঘণ্টার জন্য যদি বাকি রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করে দেওয় হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে কেন সেই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে ? পাশাপাশি প্রশ্ন করা হয়েছে নির্বাচন চলাকালীন কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রীর সভার অর্থটা ঠিক কি ? তাঁর এই সভা সাধারণ মানুষকে উত্তপ্ত করতে যথেষ্ট নয় কি ? তবে কি এখানেই নির্বাচন কমিশনের নীতি ভঙ্গ হচ্ছেনা’ – নিরপেক্ষ ভোটের দাবিতে মুখ খুললেন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী-সমর্থকরা।