বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে ঘর গোছাতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার দলীয় কাজ বন্টনের আগের দিন থেকেই তৎপর পদ্ম শিবির। বিজেপির পঞ্চপাণ্ডব তাই বুধবার থেকেই যে যাঁর জেলায় পৌঁছে গিয়েছেন।
শিলিগুড়িতে বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য নিযুক্ত রয়েছেন। অন্যদিকে দুর্গাপুরে কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় থাকছেন বিনোদ সোনকার। উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে মেদিনীপুরের দায়িত্বে সুনীল দেওধর এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। রাণাঘাটে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বিনোদ তাওড়ে। জেলার পাশাপাশি শহর কলকাতার পোর্ট ট্রাস্ট গেস্ট হাউজেও জরুরী বৈঠকে থাকবেন দুস্যন্ত গৌতম।

বুধবার সকাল থেকেই দায়িত্ব পাওয়া নেতারা একে একে কলকাতায় এসে পৌঁছন। এদিন বিমানবন্দরে কর্মীর উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। মূলত দলের অন্দরের সংঘাত সরিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাঁটি বিশ্লেষণ করাই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। অর্থাৎ ঘরের কোথাও ফাঁকফোকর থাকলে কীভাবে তা সারাই হবে পঞ্চপাণ্ডব সেই বিষয় নিয়েই খতিয়ে দেখবেন।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে পাঁচটি জোনের দায়িত্ব পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, এই তিনদিন ধরে পাঁচটি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দলের সংগঠন নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। জেলায় জেলায় ঘুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের মুখোমুখি কথা বলবেন। এরপর তাঁরা রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবেন দিল্লিতে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। অন্যদিকে আগামী ৩০ নভেম্বর ফের রাজ্যে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।