এতদিন শয়ে শয়ে মৃতদেহ ভেসে আসছিল উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গা যমুনার জলে। এবার আরও ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেল উন্নাওতে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/05/WhatsApp-Image-2021-05-13-at-12.53.42.jpeg)
উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌ থেকে উন্নাওয়ের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। আর এই উন্নাওয়ের নদীর পাড়েই পোঁতা রয়েছে সারি সারি মৃতদেহ। গেরুয়া কাপড় জড়ানো মৃতদেহগুলি সারে সারে পোঁতা রয়েছে নদীর পাড়ে। দেহগুলি করোনায় মৃতদের কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি এখনও কিন্তু তবুও প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে নিকটবর্তী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে সমস্ত করোনায় মৃতদের হিসেব দিচ্ছেনা রাজ্য সরকার, তাদের দেহই কাপড়ে জড়িয়ে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে নদীর পাড়ে। উন্নাওয়ের শ্মশানে করোনার মৃতদেহ সৎকারের লম্বা লাইন প্রতিদিন। একই অবস্থা আশেপাশের এলাকাগুলিতে। স্থানীয়দের অভিযোগ শ্মশানে কাঠ নেই, নেই কবরস্থানে কবর দেওয়ার জায়গা। এই পরিস্থিতিতে করোনা মৃতদেহগুলোকে নদীর পাড়ে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক রবীন্দ্রকুমার বলেন “স্থানীয়দের অনেকেই মৃতদেহ দাহ না করে পুতে দেন মাটিতে। এক্ষেত্রেও তেমন কিছু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।”
এর আগে শয়ে শয়ে দেহ ভাসতে দেখা গেছিল বিহার উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা যমুনার জলে। এই দেহগুলি ভেসে মালদা দিয়ে ঢুকে পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গেও এমন আশঙ্কাকেও উড়িয়ে দিতে পারছেন না কেউই। কাল ৬টি মৃতদেহ ভেসে আসে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার রুঞ্জ নদীতেও। পচা গলা দেহগুলি থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে জলে। এই পরিস্থিতিতে দেহগুলি নদীর পাড়ের বালিতে পুতে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।। বিভিন্ন রাজ্যগুলির এই নদীগুলি তীরবর্তী মানুষদের কাছে জীবনরেখা বলা চলে। নদীর ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল ওই এলাকার মানুষ। তাই এই নদীগুলি এহেন অবস্থাতে প্রশাসনকে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।