“দো লভজো কী হ্যায় দিল কী কাহানি ক্যায় হ্যা মহব্বত ক্যায়া হ্যায় জাওয়ানি” সুর, শুধু সুরের বন্যা বইয়েই গেছেন তিনি, আজ তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর সুর, তাঁর গান আজও প্রাসঙ্গিক।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/IMG-20210627-WA0044.jpg)
বলিউডে গানের ধারাটাই বদলে দিয়েছিলেন তিনি। সময়ের চৌকাঠ পেরিয়ে সেইসব গান আজও সমান জনপ্রিয়। ১৯৫০-এর দশকে বলিউডের গানের জগতে তাঁর প্রথম পা রাখা। সুরের সম্রাট শচীন দেব বর্মনের ছেলে হিসেবে তাঁর থেকে মানুষের প্রত্যাশা ছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি তৈরি করে ফেললেন নিজের সুরের দূর্গ।উস্তাদ আলি আকবর খান এবং আশিষ খানের যোগ্য শিষ্য আর ডি বর্মনের সৃষ্টি গানের সম্ভার আকাশ ছোঁয়া। আজ মনে পড়ে যায় হাজারটা গানের, হাজার রকমের সুর। পঞ্চমের ছোঁয়া লেগে আছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও। এই একুশ শতকে আজও তাঁর গান বরাবরের মতোই মনে ছুঁয়ে যায়।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/IMG-20210627-WA0043.jpg)
আর.ডি. বর্মন এবং কিশোর কুমারের যুগলবন্দী সবসময়ই ঝড় তুলেছে বলিউডের সঙ্গীতমহলে। ‘পড়োসন’ ছবির ‘মেরে সামনে ওয়ালি খিড়কি মে’ গানটি তার একটি উদাহরণ। আর ডি বর্মণের সুরে এই গান আজও জনপ্রিয়। তাই আজও কোনো প্রেমিক প্রতিবেশীর জানালাকে উদ্দেশ্য করে গান ধরে ” মেরি সামনে ওয়ালি খিড়কি মে”, আর ডি-র কম্পোজ করা মান্না দে এবং কিশোরের গলায় এই ছবিরই ‘এক চতুর নার’ গানটিও সমান পপুলার শ্রোতাদের কাছে। আজও এই গানটি গাইতে গেলে অন্তত একবার হলেও ভাবে অনেক তাবড় তাবড় গায়ক।
“তুজসে নারাজ নেহি জিন্দেগি হ্যারান হু ম্যায়” গানটি যেন প্রতিপদের প্রতিযুগের জন্য তৈরি। এক যুগ পার করেও আমরা সেই পঞ্চমেই। গুলজারের কথায় পঞ্চমের এই গান আজও শ্রোতাদের আবেগকে নিয়ে যায় কোনও অজানা লক্ষ্যে।
‘মাসুম’ ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এই গানটি আজও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। শুধু এই গানটি নয়, নাসিরউদ্দিন ও শাবানা আজমি অভিনীত এই ছবির একের পর এক গান হিট: ‘হুজুর ইস কদর’ হোক বা ছোটদের ‘লকড়ি কি কাঠি’। এই সুর এই গান মনে করায় ছেলেবেলা, যৌবন, প্রথম প্রেম, প্রথম মন খারাপ আরও কত কিছু। তাই তার সুরের বৃষ্টি আজ শ্রোতাদের ভরিয়ে তুলছে স্মরণবেদনায়।