গত ১ মে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে আনতে শুরু করেছে তালিবান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দফায় দফায় সব সেনা সরিয়ে আনা হবে। কিছুদিনের মধ্যে আফগানিস্তানের দুই নেতা আশরফ গনি ও আবদুল্লা আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাইডেন। তার আগে মার্কিন গোয়েন্দারা প্রশাসনকে সতর্ক করে বললেন, তাঁদের সেনা সরে আসার ছমাসের মধ্যেই তালিবান ফের কাবুল দখল করে নিতে পারে। ১ মে থেকেই আফগানিস্তানে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে তালিবান। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা চলে গিয়েছে তাদের দখলে।হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি বলেন,আমরা লক্ষ করেছি, ১ মে-র পর থেকেই আফগানিস্তানে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/WhatsApp-Image-2021-06-25-at-13.46.45-1024x682.jpeg)
আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে ভারত। গত সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, যেভাবে আফগানিস্তানে হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রপুঞ্জ উদ্যোগ নিক যাতে সেদেশে সংঘর্ষবিরতি চালু হয়।বিখ্যাত মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মার্কিন গোয়েন্দারা একসময় মনে করতেন, তাঁদের ফৌজ সরে এলে আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট গনির সরকার টিকবে বড় জোর দুবছর। এখন তাঁরা মনে করছেন, মার্কিন সেনা না থাকলে ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে কাবুল দখল করে নেবে তালিবান। অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশের গোয়েন্দাদের ধারণা, আরও আগেই প্রেসিডেন্ট গনির সরকারের পতন ঘটবে। মার্কিন সেনা না থাকলে তিনি বড় জোর তিন মাস ক্ষমতায় থাকবেন।মার্কিন জয়েন্ট চিফ ওব স্টাফ মার্ক মিলে বলেন, আমরা আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি। আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীতে ৩ লক্ষের বেশি সৈনিক আছে। তাদের কাজ হল দেশকে রক্ষা করা।মিলে জানান, তালিবান এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের ৮১ টি জেলাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু কোনও প্রদেশের রাজধানী তারা দখল করতে পারেনি।মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লিয়ড অস্টিন বলেন, আমরা আফগানিস্তানের ওপরে নজর রাখব। সেই দেশকে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যেতে দেওয়া চলবে না।গতবছর আফগান সরকারের সঙ্গে তালিবানের বন্দি বিনিময় হয়। প্রায় পাঁচ হাজার তালিবান বন্দিকে ছেড়ে দেয় সরকার। সরকার পক্ষের এক হাজার সেনাও মুক্তি পায়। তালিবানের মধ্যে যারা ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর, এমন ৪০০ জঙ্গিকে ছাড়া হয় সকলের শেষে।