করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ কপালে ভাঁজ ফেলেছে সমস্ত সরকারি মন্ত্রকের। ইতিমধ্যে সংক্রমণের মাত্রা ঊর্ধ্বগামী হওয়ায় ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় সংক্রমিত দেশের স্থানে নাম লিখিয়েছে ভারত। হাসপাতালে নেয় পর্যাপ্ত বেড, মিলছেনা পর্যাপ্ত ওষুধ ,ভ্যাকসিন তলানিতে এসে ঠেকেছে। জীবন-মরণ সংগ্রাম করে রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন করোনার যোদ্ধারা । এরই মধ্যে ‘কোভিড-যোদ্ধা’ ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার জীবনবিমার প্রকল্প বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৮৭ জন ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার ৫০ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা পেয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাংসদে জানানো হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে ৪৮৯ জন ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ডাক্তার ১৭৪ জন, নার্স ১১৬ জন ও স্বাস্থ্যকর্মী ১৯৯ জন। তবে এই সংক্রমণের মাঝেই হঠাৎ করে বীমার সুবিধা বন্ধ করার জন্য প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সরকারকে। কারন এক সময় যে কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানাতেই দেশের সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ,আজ সেই কোভিড যোদ্ধাদের জীবনের মূল্য হঠাৎ কমে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমণ কালে করোনার ভয়াবহতার রুখতেই এগিয়ে এসেছিলেন সমস্ত ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষকে সুস্থ করে বাড়ীর পথে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা । তাই সরকারি তরফে তাঁদের জন্য একটি বীমার ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ৩০ মার্চ থেকে তিন মাসের জন্য এই বিমার সুবিধা চালু হয়। পরবর্তীতে তা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ করা হয়।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, “ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্য কর্মীদের বিমা প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। ২৪ মার্চের আগে কারও মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবার বিমার টাকা পাবেন। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত নথি জমা করা যাবে। “তবে যদিও ঠিক কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এখনও পরিষ্কারভাবে বলা হয়নি।