পেঁয়াজের ঝাঁঝে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছে আমজনতা। আর ঠিক সেই সময় ভারতে উত্পন্ন সব ধরনের পেঁয়াজের রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড’-এর তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অবিলম্বে কার্যকর করার কথাও এদিন বলা হয়েছে। ভারতে উত্পন্ন বেঙ্গালোর রোজ ও কৃষ্ণপুরম জাতের পেঁয়াজ সব থেকে বেশি রফতানি হয়। নির্দেশিকার আওতায় এই দু-ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে।

অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে এবছর কর্নাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশীয় বাজারগুলিতে। হোল সেল মার্কেটে সোমবার ৩০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। যেখানে ২৮ অগস্ট প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ১২০০ টাকা। পেঁয়াজের দাম প্রায় তিন গুণ বেড়ে যাওয়ার পরই সরকার সব ধরনের পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয়। প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ কোথাও কোথাও ৬০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশ-সহ সব দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি অবিলম্বে বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যই কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তবে নির্দেশিকা অনুযায়ী, কাটা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের স্ম্যাশ বা পেঁয়াজ পাউডারের উপর আপাতত নিষেধাজ্ঞা নেই। এদিকে, পেয়াঁজ রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা জারির পর উত্তর ২৪ পরগনার দুই মহকুমার সীমান্তে আটকে পড়ছে ৫০০ লরি পেয়াঁজ। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
